বুধবার থেকে শুরু সংসদের বাজেট অধিবেশন। এর পরিপ্রেক্ষিতে শীতকালীন অধিবেশনে সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সকল সাংসদের সাময়িক বরখাস্ত বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী জানিয়েছেন, শীতকালীন অধিবেশন যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল, বিরোধী দলের সেই সাংসদদের সাসপেনশন এবার প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে। 'সরকারের তরফে লোকসভা স্পিকার ও রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে সাসপেনশন প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হয়েছে'।
সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া সকল সাংসদের সাসপেনশন বাজেট অধিবেশনের আগে বাতিল করা হবে বলেই জানিয়েছে মোদী সরকার। গত বছর সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন, ১৪৬ জন সাংসদকে বাতিল করা হয়।বরখাস্ত করা সাংসদের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে, সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছিলেন, “সমস্ত (সাসপেনশন) বাতিল করা হবে। আমি (লোকসভা) স্পিকার এবং (রাজ্যসভা) চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি, সরকারের পক্ষ থেকে তাদের অনুরোধও করেছি'। বরখাস্ত হওয়া সংসদ সদস্যরা আগামীকাল (৩১ জানুয়ারি) থেকে সংসদে আসবেন কি না জানতে চাইলে তিনি সম্মতিসূচক জবাব দেন।
৩১ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বাজেট অধিবেশনের ঠিক আগে ১৪ জন বিরোধী সাংসদের সাসপেশন বাতিল করা হয়। শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন তাঁদের সকলকেই সাময়িক বরখাস্তের পাশাপাশি তার সাসপেনশন সংক্রান্ত মামলাটি সংসদের বিশেষাধিকার কমিটিতে পাঠানো হয়েছিল। সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেছেন যে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় সাংসদের বিষয়ে সরকারের অনুরোধে সম্মত হয়েছেন।
উল্লেখ্য সংসদের শীতকালীন অধিবেশন উভয় কক্ষের মোট ১৪৬ জন বিরোধী সাংসদকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ জন লোকসভার এবং ৪৬ জন রাজ্যসভা সদস্য। মঙ্গলবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জোশী বলেছেন, "সকলের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হবে।" সরকারের পক্ষ থেকে, আমরা লোকসভার স্পিকার এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানকে অনুরোধ জানিয়েছি এবং তারা সম্মত হয়েছেন। বুধবার থেকে শুরু হবে সংসদের বাজেট অধিবেশন চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
আরও পড়ুন : < Hijab Row: শিক্ষা প্রাঙ্গণে হিজাব বিতর্কে নয়া মোড়, পড়ুয়াদের এবার সরাসরি হুঁশিয়ারি বিজেপি বিধায়কের >
এই বাজেটে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ানো এবং মূদ্রাস্ফীতি রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, এমনটাই প্রত্যাশা নাগরিকদের। তাই সরকারের বড় কিছু ঘোষণার অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। বর্তমান পরিস্থিতিতে কর্মসংস্থান বাড়াতে সরকারকে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রতি বছর লাখ লাখ যুবক চাকরির জন্য সংগ্রাম করছে। তাদের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা সরকারের জন্য বাজেটে বড় চ্যালেঞ্জ হবে।