India Union Budget 2019, Expectations for Women:
২০১৮-এর কেন্দ্রীয় অর্থনৈতিক সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছিল একটা গোলাপি মলাটে। সচরাচর এমনটা ঘটেনা। কেন্দ্র বার্তা দিতে চেয়েছিল মহিলাদের কথা ভেবে অর্থনীতির ভোল পালটাতে চায় সরকার। সমীক্ষার কিছুদিনের মধ্যেই পেশ করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাজেট। কতটা কথা রেখেছিল সরকার? আদৌ কি মহিলাদের কথা ভেবে গঠনগত বদল এসেছিল বাজেটে? দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
নারী নিরাপত্তা
মহিলাদের জন্য হেল্পলাইন প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছিল ২৮.৮ কোটি টাকা, যা তার আগের বছরের তুলনায় দ্বিগুণের বেশি। সখি প্রকল্পে চালু হয়েছিল ওয়ান স্টপ সেন্টার প্রকল্প। ব্যক্তিগত এবং সামাজিক জীবনে হিংসার শিকার হওয়া মেয়েদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়াতে এই প্রকল্পে খরচ করা হয়েছিল ১০৫.১০ কোটি টাকা। মহিলাদের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক কার্যকলাপ খতিয়ে দেখার জন্য ৭ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল মহিলা সেচ্ছাসেবী পুলিশ নিয়োগ প্রকল্পে।
কর্মসংস্থানে উৎসাহ প্রদান
২০১৭ সালের কেন্দ্রীয় বাজেটে মহিলা শিল্পোদ্যগে চালু হওয়া 'স্টেপ' প্রকল্পে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য ৪০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল, গত বাজেটে এই খাতে বরাদ্দের পরিমাণ এক ধাক্কায় কমিয়ে আনা হয়েছিল ৫ কোটি টাকায়।কর্মরত মহিলাদের কম খরচে থাকার জায়গা দেওয়ার জন্য গত বাজেটে বরাদ্দ করা হয়েছিল ৬০ কোটি টাকা। ২০১৭-এর তুলনায় ৫ গুণ। কর্মরত মায়েরা যাতে নিশ্চিন্তে তাদের সন্তানকে রেখে কাজে যেতে পারেন, সেই লক্ষ্যে চালু হয়েছিল ন্যাশনাল ক্রেশ স্কিম। ২০১৭-এর তুলনায় এই খাতে খরচ ২০০ কোটি থেকে কমিয়ে নিয়ে আসা হয় ১২৮ কোটিতে।
আরও পড়ুন, লোকসভার আগে সাধারণ বাজেট পেশ করা অসাংবিধানিক: প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী
সামাজিক উত্তরণ
গ্রামীণ ভারতের মহিলাদের বিভিন্ন কাজে সামগ্রিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর জন্য 'মহিলা শক্তি কেন্দ্র' প্রকল্পে বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৬৭ কোটি টাকা। বিশেষ পরিস্থিতিতে সমাজের শিকার হয়েছেন, ফাঁদে পড়েছেন, এমন মহিলাদের জন্য স্বাধর গ্রে প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছিল ৯৫ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী সৌভাগ্য যোজনায় ২০১৮-এর বাজেটে বরাদ্দ হয়েছিল ১৬ হাজার কোটি টাকা।
শিক্ষা
বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও প্রকল্পে গত কেন্দ্রিয় বাজেটে বরাদ্দ হয়েছে ২০০ কোটি। ২০১৭-এর কেন্দ্রীয় বাজেটে বরাদ্দ ছিল ২৮০ কোটি টাকা।
আর্থিক সংস্থান
সংগঠিত ক্ষেত্রে মহিলাদের নিয়োগে উৎসাহ দিতে প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রথম তিন বছরে কেন্দ্র ৮ শতাংশের জায়গায় ১২ শতাংশ জমা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
স্বাস্থ্য এবং মাতৃত্বকালীন সুবিধা
জাতীয় পুষ্টি প্রকল্পে বরাদ্দ হয়েছিল ৩০০০ কোটি টাকা। মাতৃত্বকালীন সুযোগ সুবিধা দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী মাতৃ বন্দনা যোজনায় বরাদ্দ করা হয়েছিল ২৪০০ কোটি টাকা।