ঘোষিত হল কেন্দ্রের বাজেট প্রস্তাব। আয়কর ছাড়ের ক্ষেত্রে কোনও ভালো খবর না পাওয়ায় স্বাভাবিক ভাবেই কিঞ্চিৎ মুষড়ে পড়েছে মধ্যবিত্ত শ্রেণি। তবে গৃহ ঋণে কর ছাড়ের খবরে কিছুটা স্বস্তিও পেয়েছে আম জনতা।
দেশের প্রথম পূর্ণ সময়ের মহিলা অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ ঘোষণা করলেন ব্যাঙ্ক থেকে এক কোটি টাকা তুললে টিডিএস কাটা হবে ২ শতাংশ। তবে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ের ক্ষেত্রে আয়কর না কাটার সিদ্ধান্ত অপরিবর্তিত থাকল।
২ কোটি থেকে ৫ কোটির মধ্যে বার্ষিক আয় হলে এবং ৫ কোটির বেশি আয় হলে বার্ষিক সারচার্জ দিতে হবে যথাক্রমে ৩ শতাংশ এবং ৭ শতাংশ।
অন্তর্বর্তী বাজেটের পর জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসনের ( অ্যাফর্ডেবল হাউজিং ) ক্ষেত্রে জিএসটির পরিমাণ কমিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। দ্বিতীয়বার এনডিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেটে গৃহঋণের ক্ষেত্রে কর ছাড়ের কথা ঘোষণা করলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ।
শুক্রবার লোকসভায় বাজেট পেশ করার সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, আগে সাধ্যের মধ্যে থাকা আবাসনের ( অ্যাফর্ডেবল হাউজিং ) ক্ষেত্রে গৃহঋণ নিলে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হতো। সেই ছাড়ের পরিমাণ বাড়িয়ে ৩.৫ লক্ষ করা হলো। অর্থাৎ ছাড়ের পরিমাণ বাড়ল দেড় লক্ষ টাকা।
বৈদ্যুতিন যান কেনার জন্য ঋণ নিতে গেলে ১.৫ লক্ষ টাকা কর ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণা হয়েছে। ২০২০ সালের মার্চের ভেতরে ৪৫ লক্ষ টাকার মধ্যে গৃহঋণের ক্ষেত্রেও সুদের ক্ষেত্রে দেড় লক্ষ টাকা কমানো হল এই বাজেটে।
যে সমস্ত সংস্থা বার্ষিক ৪০০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় করে, তাদের ২৫ শতাংশ কর্পোরেট কর দিতে হবে। এতদিন ১৫০ কোটি আয় হওয়া সংস্থাকেই ২৫ শতাংশ কর্পোরেট কর দিতে হত। দেশের বড় সংখ্যক (৯৩.৩ শতাংশ) কর্পোরেট সংস্থার লভ্যাংশ বাড়ানোর জন্যই এই সিদ্ধান্ত।
আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আধার বাধ্যতামূলক নয়, রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এ দিনের সাধারণ বাজেটে ঘোষিত হল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। আধার অথবা প্যান দুটি নথির যে কোনও একটি কেওয়াইসি হিসেবে জমা নিতে বাধ্য থাকবে সমস্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান। আয়কর জমা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সেই একই নিয়ম গ্রাহ্য হবে।