লোকসভার আগে কেন্দ্রের সাধারণ বাজেট পেশ অসাংবিধানিক, বললেন, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা। নির্বাচন প্রক্রিয়া যাতে প্রভাবিত না হয়, কেন্দ্রের তরফে এই মুহূর্তে কোনও অর্থনৈতিক সমীক্ষা চালানোর অধিকার নেই, সোমবার জানালেন যশোবন্ত সিনহা।
দেশের বার্ষিক অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে আলোকপাত করতে ইতিমধ্যে কেন্দ্র থেকে একটি অর্থনৈতিক সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন, Union Budget 2019 Expectations: মহিলাদের জন্য কী কী সুবিধে ছিল গত বাজেটে?
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী গত বছর এনডিএ থেকে বেরিয়ে আসেন। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন কেন্দ্রের অর্থনৈতিক সমীক্ষার হিসেবে তাঁর ভরসা নেই। "স্বাধীনোত্তর ভারতে এই প্রথমবার দেশের অর্থনৈতিক বিষয়ে কেন্দ্র হস্তক্ষেপ করছে। ৭ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধি হওয়া সত্ত্বেও দেশে কর্ম সংস্থানের শোচনীয় দশা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সিনহা। "আমাদের দেশের বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি, অথচ কৃষিক্ষেত্রে আমাদের এই দুর্দশা কেন? আমাদের তো চাকরির অভাব থাকার কথা না"।
বিগত ১২টি অন্তর্বর্তীকালীন বাজেটে, উল্লেখযোগ্য কোনও নীতির ঘশনা করেনি সরকার, সেই প্রথা ভেঙ্গে বিজেপি সরকার আসন্ন বাজেটে তেমন কিছু করুক, তা চাননি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
আসন্ন বাজেটে আয়কর মকুবের ঊর্দ্ধসীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫ লাখ করার সম্ভাবনা রয়েছে কেন্দ্রের। কিন্তু সিনহা বলেছেন, অন্তর্বর্তী বাজেটে সেই বছরের বাকি সময়ের জন্যই আর্থিক নীতি ঘোষণার অধিকার রয়েছে সরকারের। রাজনৈতিক জীবনে সাতবার বাজেট পেশ করা মন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা জানিয়েছেন নতুন কোনো প্রকল্প বা আর্থিক নীতির কথা লোকসভা নির্বাচনের আগে ঘোষণা করতে পারে না সরকার।