আয়করে প্রবীণ নাগরিকদের জন্য বড় ঘোষণা বাজেট বক্তৃতায় করলেন অর্থমন্ত্রী। এদিন নির্মলা সীতারমণ বলেন, '৭৫-এর বছরের ঊর্ধ্বে যারা তাঁদের আয়কর দিতে হবে না। মূলত যাঁদের আয় পেনশন কিংবা ব্যাঙ্কে জমানো আমানতের সুদের ওপর। তাঁদের জন্য এই সুবিধা প্রযোজ্য।' দেশের প্রবীণ নাগরিকদের ঘাড় থেকে আয়করের বোঝা চাপাতে এই ঘোষণা। এদিন বাজেট বক্তৃতায় জানান অর্থমন্ত্রী। এদিন সংসদে আগামী অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করতে গিয়ে দাবি করেন, 'চলতি অর্থবর্ষে আয়কর দাতার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬.৪৮ কোটি। ২০১৪ সালে এই সংখ্যা ছিল প্রায় ৩.৩১ কোটি। অর্থাৎ গত ৬ বছরে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে আয়কর দাতার সংখ্যা। যদিও আয়কর প্রদানে ন্যূনতম বার্ষিক আয়ে কোনও বদল করেনি অর্থমন্ত্রী। কিংবা ঘোষণা করেনি বড় ছাড়ের। ফলে, একটা অসন্তোষ পরিবেশ তৈরি হবে দেশের বেতনভুক নাগরিকদের মধ্যে। এমনটাই জানান অর্থনীতিবিদরা।
তবে যুব সম্প্রদায় যারা উদ্যোগপতি হিসেবে নিজেদের তুলে ধরতে চাইছেন, তাঁদের জন্য সুখবর দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। কর প্রদানে ছাড় অর্থাৎ ট্যাক্স হলিডে এক বছর বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি বাড়ানো হয়েছে বিনিয়োগের ওপর প্রাপ্ত মূলধনের ওপর আয়করে ছাড়।
অতিমারীর আবহে দেশকে ফের উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে বাজেট বক্তৃতাতেও কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর হাতিয়ার ‘আত্মনির্ভর ভারত’। সাধারণ বাজাটে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ল ১৩৭ শতাংশ।
স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বৃদ্দিতে মূলত তিনটি ক্ষেত্রে জোর দেওয়া হয়েছে। আগামী ৬ বছর ধরে নয়া ‘প্রধানমন্ত্রী আত্মনির্ভর ভারত যোজনা’ চালু করা হবে। স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানকে মজবুত করতে ৬৪,১৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের পাশাপাশি এই যোজনা চলবে বলে জানিয়েছেন নির্মলা সীতারমণ।
১৭,০০০ গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং ১১,০০০ শহরতলীর স্বাস্থ্যকেন্দ্র পুনরুজ্জীবিত করা হচ্ছে। দেশের সব জেলায় পরীক্ষাগার তৈরি করা হবে বলেও ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।
সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের জন্য ২০২১-২২ অর্থবর্ষে ২,২৩,৮৪৬ কোটি টাকার প্রস্তাব করেছেন সীতারমণ, যা চলতি অর্থবছরে ছিল ৯৪,৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎস্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ল ১৩৭ শতাংশ। কেন্দ্র ২০২১-২২ অর্থবর্ষে করোনা টিকা দানের জন্য ৩৫ হাজার কোটি দেবে। তাঁর আশ্বাস, প্রয়োজনে এই খাতে আরও অর্থ দেওয়া হবে।