ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ড বিধানসভা নির্বাচনের দৌড়ে, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া জানুয়ারিতে ৩০৮.৭৬ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি করেছে, যার প্রায় ৩০ শতাংশ বিক্রি হয়েছে কলকাতায়। এরপর রয়েছে মুম্বই, হায়দরাবাদ, চেন্নাই, দিল্লি। দিল্লি শাখায় বিক্রি হয়েছে ৩০.৪১ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড। যেখানে কলকাতায় বিক্রি হয়েছে ৯৮.৫০ কোটি টাকার বন্ড।
Advertisment
বুধবার একটি আরটিআই প্রশ্নের জবাবে, এসবিআই জানিয়েছে যে এই বছরের ১৯-২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত ২৫ তম পর্বে এই প্রকল্পের অধীনে অনুমোদিত ২৯টির মধ্যে আটটি শাখায় নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়েছিল। এসবিআই জানিয়েছে মোট ৪৩৭ টি বন্ড বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে ১ কোটি টাকার বন্ড রয়েছে ৩০০টি। কলকাতা শাখায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে, ৯৮.৫০ কোটি টাকা। মুম্বই শাখায় বিক্রি হয়েছে ৬০.২০ কোটি টাকা। এই বারের বিক্রির পরিমাণ ২০২২ সালের নভেম্বরে গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় বিক্রি হওয়া মোট মূল্যের অর্ধেকেরও কম।
RTI- অনুসারে মোট ৪৩৭ টি বন্ড বিক্রি হয়েছে, যার মধ্যে ১ কোটি টাকার ৩০০টি বন্ড রয়েছে। কলকাতা শাখায় সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে, ৯৮.৫০কোটি টাকা। মুম্বাই শাখা, ২০১৮ সালে স্কিম চালু করার পর থেকে সব চেয়ে বেশি বন্ড বিক্রি করেছে। ৬০.২০ কোটি টাকা। কলকাতা শাখায় ২৫তম পর্বে ৮০.৫০ কোটি টাকা নগদ করা হয়েছে। যেখানে পার্লামেন্ট স্ট্রিটের এসবিআই শাখায় দিল্লি শাখায় ১৯৩.৭১ কোটি টাকা নগদ করা হয়। ৪২৯টি বন্ডের মোট ৬টি শাখায় নগদ করা হয়। উত্তর অনুসারে এসবিআই জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত বিক্রি হওয়া মোট নির্বাচনী বন্ডের মধ্যে, ১,২০০৮.৫৯ কোটি টাকা মূল্যের মধ্যে মুম্বই ৩২২৫.৭৭ কোটি টাকা এবং দিল্লি সবচেয়ে বেশি নগদ রেকর্ড করা হয়েছে (১১,৯৮৪.৯১ কোটি টাকার মধ্যে ৭,৭৯৭.০৪ কোটি টাকা)।
রাজনৈতিক দলকে অনুদান প্রদানের ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনতে নির্বাচনী বন্ড বিক্রি শুরু করা হয়। ২০১৮ সালের ১ থেকে ১০ মার্চ প্রথমবার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি শুরু হয়। সরাসরি নগদ টাকার পরিবর্তে এই বন্ড কিনে দলগুলিকে অনুদান দেওয়া যেতে পারে। বন্ড ইস্যু হওয়ার দিন থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সেটি বৈধ থাকে।