দিব্যি চাকরি করছিলেন, মাস গেলে মাইনে আসত, ইচ্ছে মতো ওড়াতেন। এ ভাবেই চলছিল। লকডাউন এসে পুরো পরিস্থিতি যেন রাতারাতি বদলে দিল। টাকা পয়সা নিয়েই কোথায় কত জমাবেন, ইনভেস্ট করবেন, খরচ করবেন, কিছুই ভাবেননি আগে?
এবার কিন্তু কিছু পরিকল্পনা নিয়ে এগোনোটা খুব দরকার।
ইমার্জেন্সি ফান্ড
লকডাউনের মতো জরুরি অবস্থায় ইমার্জেন্সি ফান্ড থেকে টাকা তোলাটা খুব দরকারি হয়ে পড়ে। কখনও চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হলেও কিন্তু ইমার্জেন্সি ফান্ড খুব জরুরি। এখান থেকে কিন্তু রোজকারের দরকারি জিনিসের জন্য খরচ করলে চলবে না। বরং, হাসপাতালে ভর্তি হতে হলে, হঠাৎ বাড়ি ভাড়া দিতে হলে, এরকম খুব জরুরি কোনও দরকারে এই ভাঁড়ার থেকে টাকা নেওয়া যাবে। .
পরিবারের স্বাস্থ্যবিমা
প্রত্যেকটি পরিবারের স্বাস্থ্যবিমা থাকা খুব দরকার। দির্ঘদিন হাসপাতালে থাকতে হলে অথবা চিকিৎসার দরকারে স্বাস্থ্যবিমা থাকা খুবই দরকার। এই মুহূর্তে আপনাকে বাইরে বেরোতে হচ্ছে না। বাড়িতে বসে ঠাণ্ডা মাথায় ভাবুন কোথায় কোন স্কিমের স্বাস্থ্যবিমা করাবেন।
টার্ম ইন্সিওরেন্স
জীবন মৃত্যু মানুষের হাতে নয়। কিন্তু আপনার অবর্তমানেও আপনার পরিবার যাতে নিরাপদ থাকে, তাই একটি টার্ম ইন্সিওরেন্স করিয়ে রাখা খুব দরকার। এমন স্কিম করবেন, যেখানে আপনার বার্ষিক আয়ের চেয়ে অন্তত ১০ থেকে ১২ গুণ বেশি কভারেজ পাওয়া যায়।
গোল সেট করে নিন
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আপনি কী কী করতে চান, সেটা আগে থেকে ঠিক করা থাকলে আয় বন্টনে সুবিধে হবে।
নিজের আয়কর রেজিম বাছুন
পয়লা এপ্রিল থেকে নতুন আয়কর ব্যবস্থা অনুযায়ী আপনার আয় অনুযায়ী আপনি বেছে নিতে পারবেন ট্যাক্স রেজিম। আপনার আয়করের পরিমাণ কমাতে হলে বেশ কিছু সুবিধা নিতে পারবেন না আপনি। ঠাণ্ডা মাথায় বাড়ি বসে ভাবুন কোন ট্যাক্স রেজিম বেছে নেওয়া আপনার জন্য সুবিধেজনক হবে।
Read the full story in English