হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই আদানি গোষ্ঠীর সব সংস্থার শেয়ার মূল্যের টালমাটাল অবস্থা। ধাক্কা এতটাই যে, বাজেটের দিনই আদানি এন্টারপ্রাইজের ২০ হাজার কোটি টাকার এফপিও বাতিল করার ঘোষণা করা হয়েছে। তাতেও রেহাই মেলেনি। লক্ষ্মীবার বাজার খুলতেই আদানিদের বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার দর নিম্নমুখী।
আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ার 8 শতাংশ কমলেও আদানি ট্রান্সমিশন, আদানি গ্রিন এনার্জি এবং আদানি টোটালের শেয়ার ১০ শতাংশ করে কমেছে। আদানি পোর্টসের শেয়ার দর ২.৭ শতাংশ পতন হয়েছে। আদানি পাওয়ার এবং আদানি উইলমারের শেয়ার মূল্য যথাক্রমে ৮.৩ শতাংশ এবং ৫ শতাংশ করে কমেছে।
তবে, অম্বুজা সিমেন্টস এবং এসিসি-র শেয়ার মূল্য যথাক্রমে ৫.৬ শতাংশ এবং ০.৭ শতাংশ করে বেড়েছে।
আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারের প্রবল পতনের ফলে গৌতম আদানির মোট সম্পদের আরও ক্ষয় হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত আদানির সম্পদের পরিমাণ ৬৯.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ফোর্বসের বিলিয়নেয়ারদের তালিকায় বর্তমানে ১৬তম স্থানে নেমে গিয়েছেন আদানি গোষ্ঠীর কর্ণধার গৌতম আদানি।
আরও পড়ুন- আদানি গ্রুপ কেন FPO প্রত্যাহার করে নিল? কারণ জানালেন গৌতম আদানি!
বৃহস্পতিবার বাজার খোলার আগে, গৌতম আদানি একটি ভিডিও বিবৃতির মাধ্যমে জানিয়েছেন যে, বাজারে অস্থিরতা বিবেচনা করে এফপিও প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। বলেছিলেন, 'বোর্ড দৃঢ়ভাবে অনুভব করেছিল যে এফপিও নিয়ে এগিয়ে যাওয়া নৈতিকভাবে সঠিক হবে না। আমার জন্য, আমার বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সর্বাগ্রে এবং সবকিছুই গৌণ। তাই বিনিয়োগকারীদের সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বিরত রাখতে আমরা এফপিও প্রত্যাহার করেছি।'
গোতম আদানির দাবি,'এই সিদ্ধান্ত আদানি গোষ্ঠীর বিদ্যমান কার্যক্রম এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার উপর কোনও প্রভাব ফেলবে না। বলেন, 'আমাদের কোম্পানির মৌলিক বিষয়গুলো শক্তিশালী। আমাদের ব্যালেন্স শিট স্বাস্থ্যকর এবং সম্পদপূর্ণ, শক্তিশালী। আমাদের EBIDTA মাত্রা এবং নগদ প্রবাহ অত্যন্ত শক্তিশালী এবং আমাদের ঋণের দায়বদ্ধতা পূরণের একটি অনবদ্য ট্র্যাক রেকর্ড রয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী মূল্য সৃষ্টিতেই আমাদের নজর যা অভ্যন্তরীণ সঞ্চয় দ্বারা পুষ্ট করতে হবে। একবার বাজার স্থিতিশীল হলে, আমরা আমাদের কৌশল পর্যালোচনা করব।'