রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) ২,০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর, তার পরই ব্যাপকহারে বেড়ে গিয়েছে জ্বালানি কিনতে ২,০০০ টাকার নোটের ব্যবহার। আগের চেয়ে আরও বেশিসংখ্যক গ্রাহক পেট্রোল ও ডিজেল কিনতে ২,০০০ টাকার নোট ব্যবহার করছেন। অল ইন্ডিয়া পেট্রোলিয়াম ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের মতে, আরবিআইয়ের শুক্রবারের ঘোষণার আগে জ্বালানি কিনতে ২,০০০ টাকার নোটের ব্যবহার ছিল ১০%। সেটাই বেড়ে ৯০% হয়েছে। যে গ্রাহকরা এতদিন জ্বালানি কিনতে ডিজিটাল পেমেন্ট করছিলেন, তাঁদের সংখ্যা ছিল পাম্পে মোট তেল বিক্রির ৪০ শতাংশ। সেটাই কমে হয়েছে ১০ শতাংশ।
অনেক গ্রাহক আবার ১০০-২০০ টাকার ছোট কেনাকাটার জন্যও ২,০০০ টাকার নোট ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন। তেমনই গ্রাহকদের একাংশ আবার পেট্রোল পাম্প থেকে ২,০০০ টাকার নোট বদলাতে চেষ্টা করছেন। যাতে ক্ষুব্ধ পেট্রোল পাম্পগুলোও। তারা এখন ২,০০০ টাকার নোট নিতে চাইছে না। কিন্তু, বেশিরভাগ গ্রাহকের কাছেই ২,০০০ টাকার নোট থাকায় ভাঙানোর মত পর্যাপ্ত অর্থ রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়ার কাছে নেই। সেই কথা মাথায় রেখে পেট্রোলিয়াম ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন এখন আরবিআইয়ের দ্বারস্থ হয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন ২,০০০ টাকার নোটের বদলে পেট্রোল পাম্পগুলোকে খুচরো দেওয়ার জন্য ব্যাংকগুলোর কাছে আহ্বান জানিয়েছে। একইসঙ্গে, এই ব্যাপারে আরবিআইয়ের নির্দেশিকা চেয়েছে।
আরও পড়ুন- পাঁচ দশক পর শিক্ষিকার বাড়িতে, বিরাট ‘গুরু দক্ষিণা’ উপরাষ্ট্রপতির
পেট্রোলিয়াম ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, আরবিআইয়ের সিদ্ধান্ত পেট্রোল পাম্পগুলোকে এক কঠিন সমস্যার মুখে ঠেলে দিয়েছে। পেট্রোল পাম্পগুলো ২০১৬ সালে নোটবন্দির সময়ও এমন সমস্যার মুখে পড়েছিল। আর, এই সমস্যা থেকে বাঁচতে গিয়ে কর কর্তৃপক্ষের হেনস্তার মুখে ডিলারদের পড়তে হয়েছে বলেই পেট্রোলিয়াম ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ। অ্যাসোসিয়েশনের আশঙ্কা, 'আমরা ভীত যে বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ফের একই সমস্যার সম্মুখীন হব। যেমনটা আমরা নোটবন্দির সময় হয়েছিলাম। সেই সময় বেশিরভাগ ডিলার আয়কর নোটিস পেয়েছিলেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আয়কর অভিযান হয়েছিল। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, এবারও তেমনটাই হতে চলেছে।'