করোনা আবহে প্রথম বাজেট অধিবেশন শুরু হচ্ছে ১ ফেব্রুয়ারি। প্রথা মেনে তাই শনিবার হালুয়া ভোজের পুরোনও যে রীতি ছিল তা বহাল রইল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, অর্থমন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। বাজেট অধিবেশনের সাফল্য কামনা করে এই হালুয়া ভোজ হয়ে থাকে।
অর্থমন্ত্রকের যে অফিসার ও কর্মীরা এই বাজেট তৈরি করেছেন তাঁদের ১০ দিনের জন্য নর্থ ব্লকের বেসমেন্টের দফতরে পাঠানো হয়। তার আগে হালুয়া খেয়ে মুখ মিষ্টি করে যান তাঁরা। একই সঙ্গে বাজেট তৈরির সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমকে কুর্নিশ করতেও এই হালুয়া খাওয়ানো হয়।
করোনার কারণে এবারের বাজেট অধিবেশনে কিছু বদল আনা হয়েছে। ইকোনমিক সার্ভের কোনও প্রিন্ট এবার তৈরি করা হচ্ছে না। অর্থাৎ কাগজে কলমে কোনও ইকনমিক সার্ভে প্রকাশ করা হবে না। এই করোনা পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতির যা বেহাল দশা সেখানে বাজেট প্রস্তুত করা একটা চ্যালেঞ্জিং কাজ তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
বছরের পর বছর বাজেটের সঙ্গে হালুয়া রান্নার এক সম্পর্ক রয়েছে ৷ এই হালুয়া রান্না এদেশের সাধারণ বাজেটের অন্যতম অঙ্গ বলেই ধরা হয়। কারণ যে সরকারই ক্ষমতায় থাকুক আর যিনিই অর্থমন্ত্রী হোন না কেন, বাজেটের কাজ পুরো দমে শুরু করার আগে এই হালুয়া রান্নার করার পর অনেকটা প্রসাদের মতো তা বিতরণ করা হয় অর্থ মন্ত্রকের কর্মীদের মধ্যে৷
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন