All India Bank Strikes: মোদি সরকারের নীতি এবং ব্যাঙ্ক বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে আগামি দুই দিন ধর্মঘটের ডাক। ব্যাঙ্ক কর্মী সংগঠনগুলো ১৬ এবং ১৭ ডিসেম্বর এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাঙ্কিং পরিষেবা পরভাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন গ্রাহকরা। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দিতেই এই ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত। যদিও একাধিক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক তাদের কর্মীদের আগামি দু’দিন কাজে যোগ দিতে আবেদন জানিয়েছে। কিন্তু নিজের দাবি আদায়ে সেই আবেদন প্রত্যাখান করেছে কর্মী সংগঠনগুলো। ফলে ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়নের ডাকা বৃহস্পতি এবং শুক্রবার ধর্মঘটে প্রভাবিত হতে পারে এটিএম পরিষেবা। এমনটাই আশঙ্কা প্রশাসনের।
জানা গিয়েছে, ইউনাইটেড ফোরাম অফ ব্যাঙ্ক ইউনিয়ন ছাড়াও এই ধর্মঘটে সামিল হবে ৯টি ইউনিয়ন। কর্মী সংগঠন ছাড়া ব্যাঙ্ক অফিসার্স সংগঠন এই কর্মসূচিতে যোগ দেবে। এদিকে, করোনায় নয়া ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই দেশের ঋণনীতি অপরিবর্তিত রাখল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। গত বুধবার ঋণনীতিতে স্থিতাবস্থা বজায় রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল। এই নিয়ে টানা ৯ বার সুদের হার অপরিবর্তিত রাখল দেশের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। রেপো রেট থাকল আগের মতোই ৪ শতাংশ।
গত সপ্তাহে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখার কথা ঘোষণা করেন। তিনি জানিয়েছেন, মনেটরি পলিসি কমিটি সর্বসম্মত ভাবে ৫-১ ভোটে অর্থনৈতিক স্থিতাবস্থা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রেপো রেট আগের মতোই ৪ শতাংশ থাকছে। পাশাপাশি, রিভার্স রেপো রেট অপরিবর্তিত থাকছে ৩.৩৫ শতাংশ।
মার্জিনাল স্ট্যান্ডিং ফেসিলিটি রেট এবং ব্যাঙ্ক রেটও অপরিবর্তিত থাকছে ৪.২৫ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত বছর মে মাসে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সুদের হার অনেকটাই কমিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। করোনা অতিমারির কারণে দেশের অর্থনীতিকে ধাক্কা সামলানোর সুযোগ দিয়ে নীতি পরিবর্তন করে রেপো রেট কমিয়ে দেওয়া হয়।
দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নিয়ে শক্তিকান্ত বলেছেন, জিডিপি বৃদ্ধি ৯.৫ শতাংশই থাকছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের প্রথামার্ধে ১৩.৭ শতাংশ হারে বেড়েছে জিডিপি। এই সময়কালে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়া ছাড়া লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রয়েছে বৃদ্ধির হারে। তবে মুদ্রাস্ফীতি একটা চিন্তার জায়গায় থাকছে দেশের অর্থনীতির জন্য।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন