Advertisment

আর নয় লকডাউন! ফের বন্ধ হলেই মাথা তুলতে পারবে না দেশের অর্থনীতি:RBI

করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়তে থাকলে অর্থনীতির উপরে তাঁর প্রভাব পড়তে বাধ্য৷ আগামি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেই প্রভাব স্পষ্ট হবে বলেই মত কৌশিকবাবুর৷

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Lock Down

লকডাউন ফিরেছে নাগপুরে। ফাইল ছবি

করোনার দ্বিতীয় সংক্রমণে কমবেশি সংক্রমিত ইউরোপ। ভারতেও কয়েকটি রাজ্যে পালা করে চলছে আংশিক লকডাউন। ১৪৪ ধারা জারি নয়ডার মতো কর্মব্যস্ত শহরে। এই আবহে আর একবার লকডাউন হলে আর মাথা তুলতে পারবে না ভারতীয় অর্থনীতি৷ ফলে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় যদি শেষ পর্যন্ত আর্থিক বিধিনিষেধ আরোপ করতেই হয়, তাহলে ইতিমধ্যেই কর্মহীন হয়ে পড়া কোটি কোটি ভারতীয়ের ফের কাজে ফেরার পথও কঠিন হবে৷

Advertisment

রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মাসিক বুলেটিনের সর্বশেষ সংস্করণে ডেপুটি গভর্নর মাইকেল দেবব্রত পাত্র লিখেছেন, 'উচ্চ আর্থিক বৃদ্ধির হারে ফেরার জন্য গোটা দেশে মরিয়া চেষ্টা চলছে৷ যে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে এই অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছতে পারস্পরিক সংস্পর্শ বেশি ঘটে, যেমন ব্যক্তিগত পরিচর্যা, আমোদ প্রমোদের উদ্দেশ্যে জমায়েতের মতো পরিষেবাও শুরু হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু ফের যদি আরও একবার মারণ ভাইরাসের ঢেউ আছড়ে পড়ে, তাহলে পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থাকা সত্ত্বেও সেই ধাক্কা সামাল দেওয়া কার্যত অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে৷'

সর্বভারতীয় এক মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী,  ডয়েশ ব্যাঙ্কের তরফে ভারতের প্রধান অর্থনীতিবিদ কৌশিক দাসও জানিয়েছেন, করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা বাড়তে থাকলে অর্থনীতির উপরে তাঁর প্রভাব পড়তে বাধ্য৷ আগামি অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিক অর্থাৎ এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে সেই প্রভাব স্পষ্ট হবে বলেই মত কৌশিকবাবুর৷

এর আগের বার পূর্বাভাসে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানিয়েছিল, গত বছরের তুলনায় এ বছর এপ্রিল- জুন ত্রৈমাসিকে ভারতীয় অর্থনীতির বৃদ্ধির হার দাঁড়াতে পারে ২৬.২ শতাংশ৷ কৌশিক দাস অবশ্য বলেছেন, 'করোনা সংক্রমণের হার বাড়তে পারে বলে অনুমান করেই আমরা ইতিমধ্যেই এপ্রিল- জুন ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার কমিয়ে ২৫.৫ শতাংশ করেছি৷'

করোনার প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হওয়া সত্ত্বেও গত কয়েকদিনে ভারতে করোনা সংক্রামিতের সংখ্যা রোজই লাফিয়ে বাড়ছে৷ ফেব্রুয়ারিতেও যেখানে দৈনিক সংক্রামিতের সংখ্যা কমতে কমতে ১০ হাজারের নীচে চলে গিয়েছিল, সেখানে বর্তমানে তা ফের ৪০ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে৷

ইউরোপের বিভিন্ন জায়গায় নতুন করে সংক্রমণ বাড়ায় ফের একবার কড়া বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে৷ ভারত অবশ্য এখনও সেই পথে হাঁটেনি৷ গত বছরও এই সময়ই কয়েক ঘণ্টার নোটিসে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ যার জেরে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের মুখে পড়েছিলেন অসংখ্য পরিযায়ী শ্রমিক৷

ভারতে এখন করোনা নিয়ে সবথেকে বেশি উদ্বেগজনক পরিস্থিতি রয়েছে মহারাষ্ট্রে৷ ইতিমধ্যেই মহারাষ্ট্রের বেশ কয়েকটি জেলায় লকডাউন জারি করা হয়েছে৷ দেশের অন্যান্য প্রান্তেও একই পদক্ষেপ করতে হবে কি না, সেই আশঙ্কাও তৈরি হয়েছে৷ অথচ এখনও প্রথম পর্যায়ের লকডাউনের ধাক্কায় কর্মহীন হয়ে পড়া অনেকেই কাজ ফিরে পাননি৷ সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমির তথ্য বলছে, জানুয়ারিতে যেখানে দেশের বেকারত্বের হার ছিল ৬.৫ শতাংশ, সেখানে ফেব্রুয়ারিতে তা সামান্য হলেও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬.৬ শতাংশ৷

RBI India Corona Lockdown
Advertisment