করোনা বিধ্বস্ত অর্থনীতি নিয়ে রীতিমতো ধুকছে সারা বিশ্ব। এই পরিস্থিতিতে এইচডিএফসি ব্যাঙ্কের ১.০১ শতাংশ শেয়ার পিপলস ব্যাঙ্ক অব চায়না (পিবিওসি)। এটি চিনের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক।
বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের হিসেব বলছে পিবিওসি-র কাছে আছে ১৭.৪৯ মিলিয়ন শেয়ার, যার বর্তমান বাজার মূল্য ৩০০ কোটির মতো।
করোনাভাইরাসের প্রকোপে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে জটিল পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে তা ২০০৮ সালের বিশ্বব্যাপী যে আর্থিক সমস্যা হয়েছিল তার থেকে আলাদা বলে জানিয়েছেন এইচডিএফসির চেয়ারম্যান দীপক পারেখ। বর্তমান সমস্যাকে তিনি ‘মানবিক অর্থনৈতিক আর্থিক সমস্যা’ হিসাবে অভিহিত করেছেন। এবং এই পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে কমপক্ষে ন’মাস সময় লাগবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সম্প্রতি এক ওয়েবিনারে দীপক বলেন, ‘ভারতের আর্থিক ক্ষেত্রের মজবুত হওয়া প্রয়োজন, না হলে অর্থনীতি ভেঙে পড়বে।’ এর জন্য দেশের নন্-ব্যাঙ্কিং ফিনান্স সংস্থাগুলিকে (এনবিএফসি) একটি নিয়ামকের আওতায় আনার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
দেশের অর্থনীতির ওপর করোনা ক্ষতর প্রভাব যতটা গভীর বলে আঁচ করা হয়েছিল কিছুদিন আগে, আদতে তার চেয়েও অনেক বেশি বলেই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং গোষ্ঠী গোল্ডম্যান স্যাকস। বুধবার তারা জানিয়েছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির পরিমাণ ১.৬ শতাংশে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিছুদিন আগেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল বৃদ্ধির হার নামতে পারে ৩.৩ শতাংশে।
বিগত দু’সপ্তাহে করোনা আতঙ্কের মধ্যেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলে জানিয়েছে গোল্ডম্যান স্যাকস। এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে সারা দুনিয়াজুড়েই মন্দা চলবে ২০২০ তে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৩.৭ শতাংশ কমবে বলে আঁচ করা হলেও এখন আশঙ্কা করা হচ্ছে ৬.২ শতাংশ কমবে।
Read the full story in English