ভারতের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক উনুৎপাদক ঋণের দায়ে জর্জরিত, এরকম এক খবর দেশবাসীর মনে আশঙ্কার জন্ম দিয়েছিল মাস খানেক আগে। রাতারাতি আগের অবস্থায় ফেরা অসম্ভব হলেও এসবিআই-এর অনাদায়ী ঋণের বোঝা ধীর গতিতে হলেও ক্রমশ কমছে।
"আপনারা যদি মনে করেন, সব আগের অবস্থায় ফিরে যাবে, এত তাড়াতাড়ি তা হবে না", বললেন ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান রজনীশ কুমার। তবে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে আগের থেকে সতর্ক হয়েছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্ক, জানিয়েছেন চেয়ারম্যান। যাচাই পদ্ধতি আরও কড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন, সুদের হার কমতে পারে ইপিএফ-এ
এসবিআই-এর তরফে জানানো হয়েছে চলতি অর্থবর্ষের প্রথম ৬ মাসে বৃদ্ধির হার শূন্যের নীচে নেমে গেলেও অক্টোবর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে ৫ শতাংশ বৃদ্ধি হয়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে বৃদ্ধির হার ৭ শতাংশ।
২০২০-২১ এর তৃতীয় এবং চতুর্থ ত্রৈমাসিকে এনপিএ-র বোঝা কমেছে বলে দাবি করেছেন রজনীশ কুমার।
আরও পড়ুন, ৫ শতাংশে নামল জিডিপি বৃদ্ধির হার
সাধারণত, ব্যাঙ্ক নিজেদের লাভ দেখাতে বাজে ঋণের ভারে নুইয়ে থাকলেও অনুৎপাদক সম্পদের পরিমাণ লুকিয়ে রাখতে চায়। আরবিআই এবং সেবি ব্যাঙ্কগুলির এনপিএ-র পরিমাণ ঘোষণা করা নিয়ে নিয়মাবলী কড়া করলেও ব্যাঙ্ক অধিকাংশ সময়েই এনপিএ-র পরিমাণ কমিয়ে বলে। প্রসঙ্গত, আরবিআই এর ঝুঁকি মাপক রিপোর্ট পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ব্যাঙ্ককে এনপিএ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ঘোষণা করতে হবে, গত নভেম্বরে এমন নির্দেশ দিয়েছিল বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা সেবি।