রোজকার বাসে ট্রামে, ট্রেনে যাতায়াত করতে করতে মানিব্যাগ উপচে পড়ে কয়েনে? কয়েক মন ভারী হয়ে উঠছে আপনার মন থুড়ি ব্যাগ? সমস্যা কিন্তু আপনার একার নয়। এবং তা সমাধান করতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক।
২০১৬ সালের শেষে বিমুদ্রাকরণের পর থেকেই দেশের কয়েনের আধিক্য বেড়েছে। অর্থ মন্ত্রকের কারেন্সি অ্যান্ড কয়েন ডিভিশনে একের পর এক বৈঠকে রিজার্ভ ব্যাক কয়েন আধিক্যের সমস্যা মেটানোর প্রসঙ্গটি তুলে এনেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের তরফে কয়েনের প্রচলন কমানোর কথা বলা হয়েছে বারবার। ফলত, ভারত সরকার এখন বিকল্প ব্যবস্থার কথা ভাবছে। পরিবহণের বিকল্প ব্যবস্থা এবং কয়েন বিতরণের ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ। ব্রাজিল, শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপে ভারতীয় মুদ্রা রফতানির কথাও ভাবা হয়েছে। এখন পরীক্ষানিরীক্ষার স্তরে রয়েছে তা।
কারেন্সি অ্যান্ড কয়েন ডিভিশনে একের পর এক বৈঠকে আরবিআই প্রতিনিধি সারা দেশে মুদ্রার আধিক্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ২২ নভেম্বর, ২০১৮ -এর এক বৈঠকে আরবিআই জানিয়েছে তাদের সংগ্রহে ৯০ কোটি মুদ্রা রয়েছে। অথচ ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের জন্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং অ্যান্ড মিন্টিং কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৩৪০ কোটি কয়েন তৈরি করতে।
আরও পড়ুন, ‘স্নাতকোত্তর না করেই এম ফিল করেছেন রাহুল’, কীভাবে সম্ভব?
বৈঠকে জানানো হয়েছে কয়েন আধিক্য মেটাতে বিতরণের ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণের কথা ভাবা হয়েছে। বাড়তি মুদ্রা রফতানির ভাবনাও রয়েছে কেন্দ্রের।
মুদ্রা বিতরণের ক্ষেত্রে 'নন অফিসিয়াল মডেল'-এর কথা ভাবছে কেন্দ্র। সেক্ষেত্রে মুদ্রা বিতরণে আসতে পারে বেসরকারিকরণ। বাড়তি খরচ কিন্তু বহন করতে হবে সরকারকেই। এই মডেল দেশ জুড়ে কয়েনের ব্যবহার বাড়াতে বেশি দক্ষ হলে সেই মতো পরিবর্তন আনা হবে সংশ্লিষ্ট আইনেও।
Read the full story in English