/indian-express-bangla/media/media_files/2025/02/07/h4kaFa8lHU3orPOIftQj.jpg)
গোল্ড লোনে নয়া ফাঁদ, বিরাট ফাঁপরে ঋণ গ্রহীতারা
Gold Loans: গোল্ড লোন অনুমোদনের ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক ও নন-ব্যাঙ্কিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে (এনবিএফসি) নির্দেশ দিয়েছে আরবিআই। তারপরই গোল্ড লোনের ক্ষেত্রে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যার মাশুল গুণতে হচ্ছে সাধারণ গ্রাহকদের।
সোনার দাম বাড়ার সঙ্গে দেশে গোল্ড লোনের চাহিদা দিনের পর দিন বাড়ছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে এখনও পর্যন্ত এই বৃদ্ধির হার ৫০ শতাংশ। অন্য সমস্ত লোনের তুলনায় গোল্ড লোনের চাহিদা অনেকটা বেশি। এই পরিস্থিতিতে নিয়মে কড়াকড়ি করতে চাইছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। ঋণ গ্রহীতার ব্যাকগ্রাউন্ড খতিয়ে দেখার পাশাপাশি বন্ধক রাখা সোনার মালিকানা খতিয়ে দেখার উপরে জোর দেওয়া হচ্ছে।
গোল্ড লোন দেওয়ার ক্ষেত্রে সংস্থাগুলির বেশ কিছু গাফিলতি ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নজরে এসেছে। প্রতিটি সংস্থা এই সংক্রান্ত নিয়ম মেনে চলছে না বলে গত সেপ্টেম্বরে সতর্ক করে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। একটি সূত্র জানাচ্ছে, আগের ব্যবস্থায় অনেকটা কম খরচে গোল্ড লোন রিনিউয়ের সুবিধা থাকলেও এখন নতুন ব্যবস্থায় দরিদ্র মানুষদের আগের লোন মিটিয়ে নতুন করে লোনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আবার টাকা ধার করা ছাড়া আর কোন উপায় নেই। যারা গোল্ড লোন নেন অধিকাংশই পারিবারিক খরচ, শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য সংক্রান্ত হঠাৎ কিছু পরিমাণে টাকার জোগাড় করতেই ব্যাঙ্ক, নন ব্যাঙ্কিং প্রতিষ্ঠানের দ্বারস্থ হন।
এই বিষয়ে গ্রাহকরা দাবি করেছেন, “নতুন ব্যবস্থা আমাদের জন্য ব্যয় বহুল করে তুলেছে। আরও এক বছর লোন চালিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের আবার লোন নিতে হবে। এর উপরে, আমাদের আবার প্রসেসিং ফি দিতে হতে পারে"।
গোল্ড লোনে এই পরিবর্তন এসেছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গোল্ড লোন বকেয়া ১.৭৮ লক্ষ কোটি টাকায় বৃদ্ধি পাওয়ায়। সোনার দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে, সোনার ঋণ ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। ব্যাংক এবং এনবিএফসিগুলি এটিকে একটি আকর্ষণীয় ব্যবসা বলে মনে করেছে কারণ ঋণগ্রহীতা লোন পরিশোধ করতে না পারলে সোনা নিলাম করাটাও সহজ হয়ে দাঁড়ায়।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাংক (আরবিআই) ঋণদাতাদের গোল্ড লোন প্রক্রিয়া কঠোর করার নির্দেশ দেওয়ার পর, ব্যাংকগুলির তরফে নেওয়া নতুন ব্যবস্থা প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে।