New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/bill_gates.jpg)
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি
গতমাস থেকেই শুরু হয় এই দুই ধনকুবেরের সেয়ানে সেয়ানে টক্কর, যখন পালা করে ৬৪ বছরের গেটস এবং ৫৫ বছরের বেজোস একে অপরকে ডিঙিয়ে যেতে থাকেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি
এবার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও পাওয়া হয়ে গেল। অ্যামাজন.কম-এর প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস নন, মাইক্রোসফট কর্প এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসই পৃথিবীর সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি। শুক্রবারের এই ঘোষণার ফলে বেজোসকে টপকে দু'বছরের মধ্যে প্রথমবার ফের তালিকার শীর্ষে উঠে এলেন গেটস।
এর জন্য কিছুটা দায়ী সম্ভবত মার্কিন প্রশাসন, কারণ ২৫ অক্টোবর সব প্রত্যাশার বিরুদ্ধে গিয়ে অ্যামাজনের পরিবর্তে মাইক্রোসফটকে ১০ বিলিয়ন ডলারের একটি ক্লাউড-কম্পিউটিং চুক্তি প্রদান করে মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দফতর পেন্টাগন। সেই চুক্তি পাকা হওয়ার পর থেকে মাইক্রোসফটের শেয়ারের দাম বেড়েছে ৪ শতাংশ, যার ফলে গেটসের ব্যক্তিগত সম্পত্তির পরিমাণ এখন ১১০ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ৮ লক্ষ কোটি ভারতীয় টাকা), জানাচ্ছে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্স। অন্যদিকে অ্যামাজনের স্টক পড়েছে প্রায় ২ শতাংশ, যার ফলে বেজোসের সম্পত্তির পরিমাণ এখন ১০৮.৭ বিলিয়ন ডলার (আন্দাজ ৭.৮ লক্ষ কোটি ভারতীয় টাকা)।
গতমাস থেকেই শুরু হয় এই দুই ধনকুবেরের সেয়ানে সেয়ানে টক্কর, যখন পালা করে ৬৪ বছরের গেটস এবং ৫৫ বছরের বেজোস একে অপরকে ডিঙিয়ে যেতে থাকেন। গতমাসেই দু'বছরে প্রথমবার কম লাভের মুখ দেখে অ্যামাজন। পৃথিবীর ৫০০ জন সর্বাধিক ধনী ব্যক্তির সম্পত্তির ওপর নজর রাখে ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ারস ইনডেক্স, যা প্রতিদিন মার্কিন শেয়ার বাজার বন্ধ হওয়ার পর আপডেট করা হয়। ইউরোপের সর্বাপেক্ষা ধনী ব্যক্তি হলেন বারনার্ড আরনো, যাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ১০২.৭ বিলিয়ন ডলার।
আরও পড়ুন: বিপুল অঙ্কের লোকসান ভোডাফোন-এয়ারটেলের, সরকারের হস্তক্ষেপের দাবি
চলতি বছরে মাইক্রোসফটের মোট লাভ বেড়েছে ৪৮ শতাংশ, সুতরাং ফুলেফেঁপে উঠেছে গেটসের ব্যক্তিগত ১ শতাংশের মালিকানা। তা বাদে রয়েছে শেয়ার কেনাবেচা এবং বিভিন্ন বিনিয়োগ থেকে আয়, যা দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে তাঁর পারিবারিক দফতর, ক্যাসকেড।
এটাও অনস্বীকার্য যে তাঁর এবং স্ত্রী ম্যাকেঞ্জির ডিভোর্স না হলে এখনও হয়তো বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি থাকতেন বেজোসই। এবছরের জানুয়ারি মাসে ৪৯ বছর বয়সী ম্যাকেঞ্জির সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় বেজোসের, যার জেরে জুলাই মাসে অ্যামাজনে তাঁদের যৌথ ভাগের এক-চতুর্থাংশ পান ম্যাকেঞ্জি। শুক্রবারের হিসেব অনুযায়ী, ম্যাকেঞ্জির মোট সম্পত্তির পরিমাণ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ বিলিয়ন ডলার (আন্দাজ ২.৫ লক্ষ কোটি টাকা)।
অন্যদিকে একথাও অনস্বীকার্য যে, বিভিন্ন সমাজসেবা মূলক খাতে এত অর্থব্যয় না করলে এক নম্বর স্থান হয়তো আদৌ হাতছাড়া হতো না গেটসের। সেই ১৯৯৪ সাল থেকে শুরু করে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনে ৩৫ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি দান করেছেন তিনি।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রপতির দৌড়ে থাকা এলিজাবেথ ওয়ারেনের মতো কিছু ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্যের দ্বারা প্রস্তাবিত ওয়েলথ ট্যাক্স বা সম্পদ করের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে গেটস বলেন, তিনি ইতিমধ্যেই ১০ বিলিয়ন ডলারের বেশি কর দিয়েছেন। "আমাকে ২০ বিলিয়ন ডলার দিতে হলেও অসুবিধে নেই, কিন্তু ১০০ বিলিয়ন দিতে বললে বাধ্য হয়েই অঙ্ক কষতে শুরু করব, যে আমার কত রইল," বলেন তিনি।
আজকের হিসেবে সেই অঙ্কের ফল দাঁড়াবে ১০ বিলিয়ন ডলার (এই ধরুন ৭ হাজার কোটি ভারতীয় টাকা)।