চলতি অর্থবর্ষে কীভাবে চলবে দেশ, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে কি না? সে সবের উত্তর নিয়ে পয়লা ফেব্রুয়ারি পেশ হতে পারে বাজেট। এমনটাই সংবাদসংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। এই বাজেট ঘিরে নানা জল্পনা চলছে। লকডাউনের জেরে ২০২০ সাল ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিল্প থেকে ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনৈতিক নানা ক্ষেত্র। সেই ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে ফেরাতে কী কী ব্যবস্থা নিতে চলেছে কেন্দ্র, তা জানার জন্য এই বাজেট ২০২১ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
দেশের তাবড় অর্থনীতিবিদদের মতে আর্থিক ক্ষেত্রগুলি পুনরুদ্ধার করতে এবং বৃদ্ধির মুখ দেখতে সরকারকে আগের থেকে 'ব্যয়' আরও বাড়িয়ে তুলতে হবে। সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কাউন্সিল, নীতি আয়োগ এবং প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টার কার্যালয় অর্থনীতির পুনরুদ্ধারকে আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি সম্প্রসারণ বাজেটের উপর জোর দিয়েছে। বাজেটের প্রাক আলোচনায় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের কাছে এই বিষয়টি জানান হয়েছে।
ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড যেমন জানিয়েছেন ভারতের অর্থনীতি এমন অনেকটাই মন্দার মুখে। এখন জিডিপি বাড়ানোর জন্য কখনই ফ্রি মার্কেট নীতির উপর নির্ভর করা উচিত নয়। ২০২০ সালে উপভোক্তাদের ব্যয় কমেছে অনেকটাই। ফলে একাধিক সংস্থা বিনিয়োগ বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছিল। যার জেরে চাহিদাতে ধ্বস নামে। জন মেনার্ডের মতে একমাত্র কেন্দ্রীয় ব্যয় বাড়িয়ে সরকারই পারে এই চাহিদাকে পুনরুদ্ধার করে স্থিতিশীল অবস্থায় আনতে।
আরও পড়ুন, করোনার চরিত্র বদলাচ্ছে, সাবধান হচ্ছে না বিশ্ব
উল্লেখ্য, বিভিন্ন স্টেকহোল্ডার, ইন্ডাস্ট্রি এক্সপার্টদের সঙ্গে আলোচনা করছে অর্থমন্ত্রক। ওয়াকিবহাল মহলের আশা যে এই অর্থবর্ষে দেশের আর্থিক পরিকাঠামোকে সুদৃঢ় করতে এবং সাম্যতা বজায় রাখতে সরকার নিজেদের ব্যয় বৃদ্ধি করবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি সূত্র জানায় যে লকডাউনের ধ্বস কাটিয়ে অর্থনীতি ফেরাতে যে নীতি নিয়েছিল মোদী সরকার, তা প্রাথমিকভাবে সফল। আগামী অর্থবর্ষে বাজার ফেরাতে সবরকম চেষ্টা করবে সরকার।
সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ যেমন আশ্বাস দিয়েছিলেন যে এবারের বাজেট 'অভূতপূর্ব' হতে চলেছে৷ ঝিমিয়ে পড়া অর্থনীতিকে জাগিয়ে তুলতে এমন অনেক কঠিন পদক্ষেপ সরকার নেবে যা আগে কখনও ভাবা হয়নি। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে জিডিপি সংকোচন হয়েছে প্রায় ৭.৭ শতাংশ। বাজারে চাহিদা বাড়িয়ে তুলতে আদৌ ব্যয় বৃদ্ধি করে কি না কেন্দ্র সেদিকেই তাকিয়ে দেশ।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন