Advertisment

আসন্ন বাজেট থেকে কী কী প্রত্যাশা আমজনতার?

বর্তমানে বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ১০০ শতাংশ ছাড় দেয় কেন্দ্র। আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা কিছুটা বাড়ানো হবে বলে আশা করছে দেশবাসী।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

অদূর ভবিষ্যতে আর্থিক মন্দার সম্মুখীন হতে পারে দেশ, এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন একাধিক তাবড় অর্থনীতিবিদ। তার ওপর কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রক পুূ্বাভাস দিয়েছে চলতি অর্থবর্ষের শেষে দেশে জিডিপি বৃদ্ধির হার বিগত ছয় বছরে রেকর্ড কমবে। এই অবস্থায় মোদী সরকারের সামনে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল আসন্ন সাধারণ বাজেটে মধ্যবিত্তের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ কমানো। দেখে নেওয়া যাক কেন্দ্রীয় বাজেট ২০২০ -এর কাছে কী কী প্রত্যাশা আমজনতার?

Advertisment

আয়করে কাটছাঁট

বর্তমানে বার্ষিক আয় আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ১০০ শতাংশ ছাড় দেয় কেন্দ্র। আড়াই থেকে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে আয়কর দিতে হয় ৫ শতাংশ। ৫ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বার্ষিক আয়ে আয়করের পরিমাণ একলাফে বাড়ানো হয়েছে ২০ শতাংশ। ১০ লক্ষ টাকার ওপর আয়ে আয়করের পরিমাণ ৩০ শতাংশ। এই বিন্যাসে কিছুটা পরিবর্তন প্রত্যাশা করছে আমজনতা। আয়কর ছাড়ের ঊর্ধ্বসীমা কিছুটা বাড়ানো হবে বলে আশা করছে দেশবাসী।

আরও পড়ুন, দেশে ফের সম্পদ কর চালু করার প্রস্তাব নোবেলজয়ী অভিজিতের

দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের ক্ষেত্রে স্বস্তি

সরকার দীর্ঘমেয়াদী মূলধন লাভের ক্ষেত্রেও করে স্বস্তি দিতে পারে বলে খবর রয়েছে।  এর আগে সেম্পটেম্বর মাসে কর্পোরেট কর কমানোর সিদ্ধান্তের পর মনে করা হয়েছিল দেশে উৎপাদন বাড়বে। এর ফলে জিডিপিও উর্ধ্বমুখী হবে বলে মনে করা হয়েছিল। তবে সরকারের সেই পদক্ষেপের পরও আশঙ্কার কথা জানিয়েছিল মুডিজ। তারা জানিয়েছিল এই সিদ্ধান্তের জেরে সরকারের আর্থিক ঝুঁকির সম্ভাবনা বাড়বে। তবে সেই সময় তারা বলেছিল, কর কমানোয় কর্পোরেট ক্ষেত্রে ঋণ নিয়ে ব্যবসার অগ্রগতি হবে।

বুনিয়াদি শিল্পের বন্ডের ক্ষেত্রে ছাড়ের প্রত্যাশা

আরও পড়ুন, এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ মালিকানাই বিক্রির পথে কেন্দ্র

বুনিয়াদি শিল্পের বন্ডের ক্ষেত্রে করে ছাড় দেওয়া হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে গাড়ি শিল্পে মন্দা, বুনিয়াদি শিল্পে উৎপাদন ক্রমশ কমে আসা, নির্মাণ ও পরিকাঠামো শিল্প বিনিয়োগ কমে আসা সহ বিভিন্ন কারণে জুলাই-সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে অর্থনীতির বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশ নেমে আসতে পারে বলে এসবিআই রিসার্চ রিপোর্টে বলা হয়েছে। এই বিপর্যয় মোকাবিলাতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।

গ্রামীণ এবং কৃষিজ অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার আশা

কৃষকদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা ছাড়াও চাষির পরিবারের জন্য রোজকার সহায়তা প্রকল্পে চার মাস অন্তর ২০০০ টাকা করে দেওয়ার কথাও একাধিক বার আলোচিত হয়েছে।

Nirmala Sitharaman Union Budget 2020
Advertisment