ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন কর্তা আনন্দ সুব্রহ্মন্যমকে গ্রেফতার করল সিবিআই। ২০১৮ সালের দুর্নীতি মামলায় তাঁকে বৃহস্পতিবার রাতে গ্রেফতার করে সিবিআই। তিনি এনএসই-র প্রাক্তন গ্রুপ অপারেটিং অফিসার। সিবিআই এর আগে তাঁকে তিনদিন জেরা করে। এর আগে প্রাক্তন এমডি-সিইও চিত্রা রামকৃষ্ণ এবং প্রাক্তন সিইও রবি নারায়ণকে জেরা করেছে সিবিআই।
চলতি সপ্তাহেই সিবিআইয়ের একটি তদন্তকারী দল সেবির দফতরে গিয়ে তদন্ত সংক্রান্ত বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করে। সিবিআই জানিয়েছে, তদন্তে জানা গিয়েছে, চিত্রা স্টক এক্সচেঞ্জের কিছু অত্যন্ত গোপনীয় তথ্য কোনও এক হিমালয়বাসী যোগীকে দিয়েছিলেন। আর সেই যোগীর পরামর্শেই না কি সুব্রহ্মন্যমকে নিয়ম ভেঙে নিয়োগ করা হয়।
দুই সপ্তাহ আগে সেবি চিত্রা-সহ বেশ কয়েকজনকে ভর্ৎসনা করে সুব্রহ্মণ্যমকে গ্রুপ অপারেটিং অফিসার এবং চিত্রার ব্যক্তিগত উপদেষ্টা নিয়োগ করার জন্য। সেবির দাবি, চিত্রা যোগীর বশে এসে সুব্রহ্মণ্যমকে নিয়োগ করেন। রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই চিত্রা এবং সুব্রহ্মণ্যমের বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। তৃতীয় পক্ষকে স্টক এক্সচেঞ্জের তথ্য আদানপ্রদান করে অবৈধ লাভ অর্জন করেছেন বলে তদন্তে উঠে আসে দুজনের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন NSE বেনিয়ম মামলা: প্রাক্তন CEO চিত্রা রামাকৃষ্ণা সহ ৩ জনের বিরুদ্ধে জারি লুকআউট সার্কুলার
২০১৮ সালের মামলায় অভিযোগ ছিল, ট্রেডিং সিস্টেমে কিছু ব্রোকারকে অ্যাক্সেস দেওয়া হয়েছিল যাতে স্টক এক্সচেঞ্জের ডেটা দ্রুত হাতে পেয়ে যাবে সংশ্লিষ্ট ব্রোকার। তাড়াতাড়ি লগিন করে এবং ডার্ক ফাইবারের মাধ্যমে সেই ডেটা হাতে পেতেন ব্রোকার। যার ফলে ট্রেডারের প্রচুর লাভ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হত।
সিবিআই দিল্লি স্থিত ওপিজি সিকিউরিটিস প্রাইভেট লিমিটেডের মালিক সঞ্জয় গুপ্তার বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের করেছে। সিবিআইয়ের দাবি, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে গুপ্তা সেবি আধিকারিককে ঘুষ দেওয়া, স্টক এক্সচেঞ্জের সার্ভারে হানা দেওয়া, এনএসই-র আধিকারিকের সঙ্গে মিলে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেন।