উৎসবের মরসুমে বড় ঘোষণা মোদী সরকারের। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও পেনশনভোগীদের ডিএ বাড়ল। সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায় ৪২ শতাংশ থেকে বেড়ে কেন্দ্রীয় হারে ডিএ হল ৪৬ শতাংশ। অর্থাৎ ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ান হল। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর।
বর্ধিতহারে ডিএ জুলাই মাস থেকেই কার্যকর হচ্ছে। বর্ধিত ডিএ-এর সুবিধা পাবেন ৪৮.৬৭ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী ও ৬৭.৯৫ লাখ পেনশনভোগী।
ডিএ বৃদ্ধির ফলে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের কত লাভ হবে? ধরা যাক, প্রতি মাসে যেসব কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের বেসিক-পে ২০,০০০ টাকা, ৪২ শতাংশ হারে ডিএ পাওয়ায় এতদিন তাঁরা মাসে মহার্ঘ ভাতা বাবদ পেতেন ৮,৪০০ টাকা। এবার সেটা বেড়ে ৪৬ শতাংশ হল। ফলে ডিএ বাবদ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা এখন পাবেন ৯,২০০ টাকা। অর্থাৎ মাসে ডিএ বাবদ ৮০০ টাকা বেশি পাবেন। বছরে সেটা দাঁড়াবে ৯,৬০০ টাকা।
বুধবার কেন্দ্রের বর্ধিত ডিএ-এর ঘোষণার ফলে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ ভাতার ফারাক আরও বাড়ল। পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মচারীরা আপাতত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের আওতায় ৬ শতাংশ হারে ডিএ পান। সেখানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ-এর পরিমাণ দাঁড়াল ৪৬ শতাংশ (সপ্তম বেতন কমিশনের আওতায়)। অর্থাৎ ফারাক ৪০ শতাংশের।
বর্ধিত ডিএ-এর দাবিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা যৌথ সংগ্রামী মঞ্চ গড়ে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাচ্ছেন। মামলা বিচারাধীন রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে।
কেন্দ্রের ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণার পরই এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেছেন বাংলার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেনশনভোগীদের ডিএ হারের ফারাককে 'দুর্ভাগ্যজনক' বলে জানিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
পাল্টা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ শান্তনু সেন বলেছেন, 'রাজ্যের সীমিত আর্থিক অবস্থায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার রাজ্য সরকারি কর্মীদের যতটা সম্ভব ততটাই ডিএ দেয়। মোদী সরকার জানে লোকসভায় ওরা হারবে। তাই ডিএ বাড়িয়ে এখন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী ও পেমশনভোগীদের মন জয়ের চেষ্টা করছে।'