/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/11/ie-deepfake-1.jpg)
মূল ভিডিওটিতে একজন ব্রিটিশ ভারতীয় মহিলাকে (ডানদিকে) দেখানো হয়েছে। রশ্মিকা মান্দান্নার (বাম দিকে) মুখ ওই ব্রিটিশ ভারতীয় মহিলার মুখের ওপর বসিয়ে ছবিটিকে বিকৃত করা হয়েছে।
ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি মন্ত্রক (MeitY) কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে তৈরি বিভ্রান্তিকর বিষয়বস্তু - ডিপফেকস ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরিয়ে ফেলতে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউব সহ সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিকে নির্দেশ দিল। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দানার একটি 'ডিপফেক' ভাইরাল হওয়ার একদিন পরে এই নির্দেশ পরামর্শের আকারে দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রক চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতেও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে একই নির্দেশিকা দিয়েছিল।
সরকারি সূত্র অনুযায়ী, সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। যেখানে তথ্যপ্রযুক্তি আইন মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে। যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে মেনে চলতে হবে। নির্দেশিকায় ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬ডি ধারার উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে বলা আছে যে, কমপিউটার ব্যবহার করে কোনও ব্যক্তির চেহারা বা দেহ বদলে প্রতারণা করলে তিন বছরের কারাদণ্ড এবং একলক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা-সহ শাস্তি হবে।
নির্দেশিকায় তথ্যপ্রযুক্তি বিধির ৩(২)(বি) ধারারও উল্লেখ করা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলোকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একজন ব্যক্তির কৃত্রিমভাবে রূপ বদলানো বা বিকৃত করা ছবি বা সেই জাতীয় বিষয়বস্তু সরিয়ে ফেলতে হবে। অবয়ব বদল বা একজনের দেহে অন্যজনের মুখ বসিয়ে দেওয়ার মত ঘটনা নিয়ে কেন্দ্রের নতুন করে নড়েচড়ে বসার কারণ, রশ্মিকা মন্দানার একটি সাম্প্রতিক ডিপফেক ছবি। যা ইনস্টাগ্রামের মত বিভিন্ন সাইটে ভাইরাল হয়েছে। যেখানে রশ্মিকার মুখাবয়ব-সহ এক মহিলাকে ভিডিওতে দেখা গিয়েছে লিফটে প্রবেশ করতে। আসলে ভিডিওটি এক ব্রিটিশ ভারতীয় মহিলার। যাঁর মুখাবয়বের ওপর কৃত্রিমভাবে রশ্মিকা মন্দানার মুখ বসানো হয়েছে। গত মাসে এই ভিডিও ইনস্টাগ্রামে আপলোড করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন- শুধুই আপের চমক! নাকি, দিল্লির জোড়-বিজোড় গাড়িনীতি সত্যিই স্বাস্থ্যের সমস্যা মেটায়?
এই ক্লিপটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর X (আগের টুইটার)-এ বলেছেন যে, 'ডিপফেকগুলো এই সব ক্ষতিকারক এবং বিপজ্জনক ভুল তথ্য পরিবেশনের সর্বশেষ রূপ। অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোকে এর মোকাবিলা করতে হবে।' একইসঙ্গে মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন, নাগরিকদের সুরক্ষার ব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার সচেতন। ভাইরাল ডিপফেকের প্রতিক্রিয়ায়, মন্দানা X-এ বলেছেন, 'সত্যিই আঘাত পেয়েছি। এই ধরনের ভিডিওগুলো আমাদের প্রত্যেকের জন্যই ভীতিকারক। কারণ, প্রযুক্তির অপব্যবহারের জন্য বড় ক্ষতির শিকার হতে হয়।'