বৃহস্পতিবার আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং সিইও পদ থেকে পদত্যাগ করলেন চন্দা কোচর। ব্যাঙ্কের পরিচালন সমিতির পক্ষ থেকে চন্দা কোচরের ইস্তফা মঞ্জুর করা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বোর্ড অব ডিরেক্টরের পদ থেকেও সরে যাবেন ছন্দা। তাঁর জায়গায় পাঁচ বছরের মেয়াদে দায়িত্বে আসতে চলেছেন সন্দীপ বক্সি। ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর মেয়াদ ফুরোবে বক্সির। সিইও এবং এমডি পদে নিয়োগের জন্য অন্যান্য শর্তাবলী অপরিবর্তিত থাকছে।
ভিডিওকন গোষ্ঠীর সঙ্গে ব্যাঙ্কিং সংক্রান্ত কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ায় চন্দা কোচরের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছিল। স্বভাবতই তদন্ত চলাকালীন ছুটিতে ছিলেন চন্দা। মামলার তদন্তের জন্য বিচারপতিদের একটি প্যানেল তৈরি হয়েছে। নেতৃত্বে আছেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি বি এন কৃষ্ণ।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সেই রিপোর্ট
২৯ মার্চের ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসেই প্রথম প্রকাশিত হয় সেই খবর। ভিডিওকন গোষ্ঠীর প্রোমোটার ভেনুগোপাল ধুত এনআরপিএল নামের এক সংস্থাকে কয়েক কোটি টাকা দিয়েছিলেন। ঘটনাচক্রে সংস্থার মালিকানার কিছু অংশ রয়েছে চন্দার স্বামী দীপক কোচরের কাছে। সংস্থা তৈরির সময় ২০১২ সালে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক থেকে ৩,২৫০ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছিল। ঋণ মেলার মাস ছয়েকের মধ্যে দীপক কোচরের নিজের একটি ট্রাস্টকে এনআরপিএল-এর মালিকানা হস্তান্তরিত করা হয়। মোট ঋণের ৮৬ শতাংশ শোধ করা হয়নি। ভিডিওকনের অ্যাকাউন্টকে ইতিমধ্যে অনুৎপাদক সম্পদ (এনপিএ) হিসেবে ঘোষণা করেছে ব্যাঙ্ক। চন্দা মুম্বইতে বর্তমানে যে ফ্ল্যাটে থাকেন, তা বিধিসম্মত কী না, খতিয়ে দেখছে আয়কর কর্তৃপক্ষ।
১৯৮৪ সালে আইসিআইসিআই সংস্থায় যোগ দেন চন্দা কোচর। ১৯৯০-তে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক তৈরির পেছনেও রয়েছে তাঁর অবদান। সারা ভারতেই রিটেইল ব্যাঙ্কিং-এ অন্যতম পথপ্রদর্শক ছিলেন চন্দা। ২০০৬-০৭ এই সময়ে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কর্পোরেট এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। ২০০৭ থেকে ২০০৯ এর মধ্যে যুগ্ম এমডি পদে উন্নিত হন। ২০১১ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হন চন্দা।