Advertisment

লাদাখ সংঘাতের আবহেও ভারতের প্রধান বাণিজ্যবন্ধু চিন: কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক

২০২০-র ইন্দো-চিন বাণিজ্যিক হিসেব পর্যালোচনা করে জানা গিয়েছে, আমদানি-রফতানি উভয় দিকে ৭৭.৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সীমান্ত সংঘাত নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে বরফ জমলেও, বাণিজ্যে এখনও ভারতের প্রধান শরিক চিন। ২০২০-র ইন্দো-চিন বাণিজ্যিক হিসেব পর্যালোচনা করে জানা গিয়েছে, আমদানি-রফতানি উভয় দিকে ৭৭.৭ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছে। গত বছর জুনে পূর্ব লাদাখ সংঘাত নিয়ে সুর চড়ায় নয়া দিল্লি এবং বেজিং। দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সংঘর্ষে শহিদ হয়েছেন একাধিক ভারতীয় জওয়ান। তারপর থেকেই চিনের থেকে সামগ্রী আমদানিতে রাশ টানে ভারত। প্রধানমন্ত্রী ডাক দেন আত্মনির্ভর ভারত গড়ার। তারপরেও পড়শি দুই দেশ বাণিজ্যিক সম্পর্কে এখনও একে অপরের প্রধান শরিক। এমনটাই কেন্দ্রীয় একটা সুত্রের দাবি।

Advertisment

তবে বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০১৯ সালে আমদানি-রফতানি মিলিয়ে দুই দেশের লাভ হয়েছিল ৮৫.৫ বিলিয়ন ডলার। পরিসংখ্যান মেলালে গত বছর দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক লাভ কমলেও, লাভের অঙ্কে এখনও চিন, ভারতের অন্যতম শরিক। যেখানে ইন্দো-ইউএস বাণিজ্যিক সম্পর্কে দুই দেশের লাভের অঙ্ক ৭৫.৯ বিলিয়ন ডলার।    

মন্ত্রক সূত্রে খবর, গত এক বছরে দেশব্যাপী শতাধিক চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ হয়েছে। চিনা বিনিয়োগে একাধিক বিধিনিষেধ আরোপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু ভারি যন্ত্র, টেলিকম সামগ্রি আর ঘর সাজানোর সামগ্রীর জন্য ভারত এখন চিন নির্ভর। এর জেরে দ্বিপাক্ষিক স্তরে প্রায় ৪০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক ফাঁক পূরণ করতে পেরেছে দুই পড়শি দেশ।  

গত বছর প্রায় ৫৮.৭ বিলিয়ন ডলার চিনা থেকে আমদানি খাতে ব্যয় করেছে ভারত। যা ইউএস এবং ইউএই’র যৌথ আমদানি খাতের সমান। আমদানির নিরিখে এই দুটি দেশ ভারতের দ্বিতীয় এবং তৃতীয় মিত্র। চাহিদা অনুযায়ী ভারি যন্ত্রপাতি আমদানির ক্ষেত্রে ৫১% চিন থেকে আনা হয়। যদিও গত বছর করোনা অতিমারির কারণে ভারতীয় বাজারের চাহিদার সঙ্গে জোগানের তারতম্য ঘটেছিল। এমনকি চিনে ভারতীয় পণ্য রফতানির ক্ষেত্রেও প্রায় ১১% বাণিজ্যবৃদ্ধি ঘটেছে ভারতের। ২০১৮ সালে রফতানি খাতে ১৯ বিলিয়ন ডলার আয় হয়েছিল ভারতের।

Ladakh indo-china Trade
Advertisment