ইন্দো-চিন সীমান্তে উত্তেজনা। দেশের অন্দরে চিনা পণ্য বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যেই চিন থেকে ভারতে আমদানিকৃত পণ্যে কাস্টমসের ছাড়পত্র মিলছে না বলে অভিযোগ। চেন্নাই ও মুম্বই বন্দরে ঘোর বিপাকে আমদানিকারীরা। তবে, কেন এই পরিস্থিতি তার কোনও কারণ কাস্টমস বা অপ্রত্যক্ষ কর বোর্ডের তরফে ব্যাখ্যা করা হয়নি।
Advertisment
চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ছাড়পত্র পেতে যে দেরি হবে তার ইঙ্গিত স্পষ্ট। তবে, এর নির্দিষ্ট কারণ বলা হয়নি এখনও। চেন্নাইয়ের এক আমদানিকারীর কথায়, 'কাস্টমস অফিসারদের নির্দেশ, চিনা পণ্যে কন্টেনার দেওয়া যাবে না। এমনকী তা ক্লিয়ারেন্সের জন্য আউট অফ চার্জ অর্ডার পেলেও করা যাবে না।' উল্লেখ্য, আমদানিকৃত পণ্যে ক্লিয়ারেন্স পেতে অনেকগুলিস্তর পেরতে হয়। নজরদারির সময় কোনও অসামঞ্জস্যতা না মিললে তবেই সেই পণ্যের উপর আউট অফ চার্জ অর্ডার পাওয়া যায়।
মুম্বই স্থিত শিল্প সূত্রে জানা গিয়েছে, চিনা পণ্যে ছাড়পত্র বা ক্লিয়ারেন্সের বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না হলে তার ছাড়পত্র মিলছেই না। এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, 'কাস্টমসের তরফে চিন থেকে আমদানিকৃত পণ্য অত্যাবশ্যকীয় ও অত্যাবশ্যকীয় নয়- এই দুটি ভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য না হলেও তা পরে পরীক্ষার জন্য সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। কাস্টমসের তরফে মুখে বলা হচ্ছে না যে তারা ওইসব পণ্য পরীক্ষা করবে না। তবে, অন্যান্য দেশের আমদানিকৃত পণ্যের তুলনায় চিনা প্যকে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।'
চিনা থেরে আমদানিকৃত খেলনা, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম পেতে তাই অসুবিধা হচ্ছে আমদানিকারীদের। বিষয়টি আশু সমাধানেরও কোনও লক্ষ্যণ নেই বলেই মনে করছেন চারা। সূত্রের খবর, 'এক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ সরাসরি কোনও নির্দেশ দেননি। কিন্তু, পুরো প্রক্রিয়ার অন্তর্নিহিত ইঙ্গিত হল যে, অত্যাবশ্যকীয় নয় এমন চিনা আমদানিকৃত পণ্যের ছাড়পত্র মিলতে দীর্ঘ সময় লাগবে। ফলে বাড়বে ড্যামারেজ চার্জ, লাভ কমবে আমদানিকারীদের।'
চেন্নাই বন্দরে কাস্টমসের এর অফিসার জানিয়েছেন, চিনা থেকে আমদানিকৃত বেশকিছু পণ্যকে কেন্দ্র করে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। পুরো বিষয়টি অপ্রত্যক্ষ কর বোর্ড ও অর্থমন্ত্রকের কাছে ই-মেইল করে জানতে চাওয়া হয়েছে। কিন্তু, এখনও কোনও জবাব আসেনি। উল্লেখ্য ভারতে মোট আমদানিকৃত পণ্যের মধ্যে ১৪ শতাংশই চিন থেকে হয়ে থাকে।