CPI Data: চলতি অর্থবর্ষের অক্টোবরে বাড়ল দেশের পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি। গ্রাহক মুদ্রাস্ফীতি নামে পরিচিত এই সূচক বেড়ে ৪.৪৮% হয়েছে। সেপ্টেম্বরে এই সূচক ছিল ৪.৩৫%। অর্থাৎ পাইকারি মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় স্বাভাবিক ভাবেই মাথায় হাত মধ্যবিত্তের। তবে ২০২০-র তুলনায় চলতি বছর সেপ্টেম্বরে বেড়েছে শিল্পোৎপাদন। ২০২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আইআইপি সূচক বেড়ে ৩.১%। শুক্রবার এই পরিসংখ্যান সামনে এনেছে পরিসংখ্যান এবং পরিকল্পনা মন্ত্রক।
এই নিয়ে পরপর চারবার গ্রাহক মুদ্রাস্ফীতি রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঘোষিত সূচকের নীচে। সর্বাধিক ৬%, আরবিআই ঘোষণা করলেও, ৫%-র নীচেই থেকেছে এই সূচক। এদিকে, নোটবন্দির ৫ বছরের মাথায় এখনও নগদে লেনদেনে বেশি স্বচ্ছন্দ জনগণ। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সাম্প্রতিক তথ্যে এই প্রসঙ্গের উল্লেখ রয়েছে। জানা গিয়েছে, ৮ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত মানুষের হাতে ২৮.৩০ লক্ষ কোটি টাকার নগদ ছিল। নভেম্বর ৪, ২০১৬-এর হিসাবে যা ৫৭.৪৮% বেশি। অঙ্কের হিসেবে ১০.৩৩ লক্ষ কোটি টাকা বেশি। ২০২০ অক্টোবর অর্থাৎ সেই বছর দীপাবলির সময়ে মানুষের হাতে ১৫,৫৮২ কোটি টাকা নগদ ছিল। ২০১৯-র হিসাবে যা ৮,৫% বা ২.২১ লক্ষ কোটি বেশি। এমনটাই দাবি রিসার্ভ ব্যাঙ্কের।
তবে ৮ নভেম্বর, ২০১৬ নোটবন্দির আগে মানুষের ১৭.৯৭ লক্ষ কোটি টাকার নগদ ছিল। ৮ নভেম্বর, ২০১৬ অর্থাৎ নোটবন্দির পর জানুয়ারি ২০১৭ সালে সেই নগদ নেমে দাঁড়ায় ৭.৮ লক্ষ কোটি টাকা।
তারপর থেকে গত ৪ বছরে ধাপে ধাপে নগদ বেড়েছে মানুষের হাতে। অর্থাৎ নগদে লেনদেন করতেই বেশি স্বচ্ছন্দ বোধ করেছে জনগণ। যদিও এই প্রথায় রাশ টানতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। কিন্তু তাতেও দমানো যায়নি নগদে লেনদেন। কম নগদের সমাজ তৈরি থেকে ডিজিটাল লেনদেন এবং নগদ লেনদেনে একাধিক বিধিনিষেধ চাপিয়েও পিছিয়ে আসতে হয়েছে কেন্দ্র-সহ শীর্ষ ব্যাঙ্ককে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলছে, গত দুই বছরে নগদ হাতে থাকার ঝোঁক বেশি বেড়েছে। নেপথ্যে করোনা সংক্রমণ-সহ কেন্দ্র এবং রাজ্যস্তরে লকডাউন ফিরে ফিরে আসা। তাই বিপদ কিংবা প্রয়োজন মেটাতে ঘরে নগদ মজুদের ঝোঁক থেকেই হাতে টাকা বেশি এসেছে মানুষের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন