Advertisment

'ভয়' পেয়েছে আরবিআই, লকডাউনের জেরে কোন পথে দেশের অর্থনীতি?

কোভিড ১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগে মনে হচ্ছিল ২০২০-২১ সালে আর্থিক বৃদ্ধি হবে সন্তোষজনক। কিন্তু অতিমহামারীর ফলে সব ব্যাপক ভাবে বদলে গেল।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

দেশের অর্থনীতির ওপর করোনা ক্ষতর প্রভাব যতটা গভীর বলে আঁচ করা হয়েছিল কিছুদিন আগে, আদতে তার চেয়েও অনেক বেশি বলেই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ব্যাঙ্কিং গোষ্ঠী গোল্ডম্যান স্যাকস। বুধবার তারা জানিয়েছে ২০২০-২১ অর্থবর্ষে ভারতের বৃদ্ধির পরিমাণ ১.৬ শতাংশে নেমে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কিছুদিন আগেও পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল বৃদ্ধির হার নামতে পারে ৩.৩ শতাংশে। দেশের অর্থনৈতিক বিকাশের সম্ভাবনার ওপরে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে করোনাভাইরাস মহামারী, স্বিকার করে নিল রিজার্ভ ব্যাঙ্কও।  আরবিআই এর মতে, অতিমারীর ফলে সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ এশিয়ার বিকাশেই বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।

Advertisment

রিপোর্টে বলা হয়েছে, “কোভিড ১৯ মহামারী ছড়িয়ে পড়ার আগে মনে হচ্ছিল ২০২০-২১ সালে আর্থিক বৃদ্ধি হবে সন্তোষজনক। কিন্তু অতিমহামারীর ফলে সব ব্যাপক ভাবে বদলে গেল। আন্তর্জাতিক অর্থনীতি সম্ভবত আর কিছুদিনের মধ্যে মন্দার যুগে প্রবেশ করতে চলেছে।”

আরও পড়ুন, বিশ্বজুড়ে মন্দা, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নামতে পারে ১.৬ শতাংশে

২০১৯ সালের শেষ ত্রৈমাসিকে ভারতের অর্থনীতির বিকাশের গতি ছিল খুবই ধীর। আশঙ্কা করা হয়েছিল বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে পাঁচ শতাংশ। যা এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে কম। অতিমহামারীর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দাম ব্যাপক হারে কমেছে। ফলে তেল কিনতে ভারতের খরচ হবে কম। কিন্তু লকডাউনের ফলে দেশের অর্থনীতির ক্ষতি হচ্ছে বিপুল। তাছাড়া বিদেশে ভারতীয় পণ্যের চাহিদাও কমছে। তাই তেলের দাম কমলেও অর্থনীতির ক্ষতিপূরণ হবে না। গত মাসেও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বলেছিল, পরিস্থিতি খুবই অস্থিতিশীল। এই অবস্থায় জিডিপি-র বিকাশ নিয়ে কোনও ভবিষ্যৎবাণী করা সম্ভব নয়।

ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় হাজার ছয়েক মানুষ ।  করোনা ক্ষতয় মলম দিতে কিছুদিন আগেই ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। অর্থমন্ত্রক সূত্রে খবর, শীঘ্র আর এক দফা প্যাকেজ ঘোষণা করা হতে পারে। তার পরিমাণ হবে ১ হাজার কোটি টাকা। মূলত ছোট ও মাঝারি ব্যবসাকে বাঁচাতেই ওই প্যাকেজ আসছে।

Read the full story in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

RBI coronavirus
Advertisment