Advertisment

জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া, স্বীকার করে নিল কেন্দ্রীয় সরকারও

জানুয়ারিতে দেশের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ছিল ৬.০১ শতাংশ। তারপরও কীসের ভিত্তিতে রিজার্ভ ব্যাংক অনুমান করল যে ফেব্রুয়ারিতে তা কমে যাবে?

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
মূল্যবৃদ্ধির আঁচে বাজার আগুন, জ্বালানির সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে নিত্যসামগ্রী, কী অবস্থা শহরের বাজারগুলিতে?

একে করোনার কারণে বিশ্ব অর্থনীতির নাজেহাল অবস্থা। তার মধ্যেই জ্বলছে বঙ্গের আনাজ-বাজার।

বাজারে কিনবেন টা কী? পকেটভর্তি টাকা নিয়ে গিয়েও ফিরতে হচ্ছে অর্ধেকেরও বেশি খালি ব্যাগ নিয়ে। বাজার থেকে ফেরা ক্রেতাদের মুখে এমনই হা-হুতাশ হামেশাই শোনা যায়। কারণ, জিনিসপত্রের দাম আকাশছোঁয়া। আর, তার জেরে মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের। এবার আমজনতার সেই সমস্যার কথা সরকারি নথিতেই স্বীকার করে নিল কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisment

কেন্দ্রীয় সরকারের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা (সিপিআই) বলছে, ফেব্রুয়ারিতেই খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে ৬.০৭ শতাংশ। রিজার্ভ ব্যাংকের অনুমান অনুযায়ী, এই মুদ্রাস্ফীতি ৬ শতাংশ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু, তার চেয়েও মুদ্রাস্ফীতি বেশি বেড়ে গিয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের সমস্যা অনুমানের চেয়েও বেশি বেড়েছে। মধ্যবিত্তের হেঁশেলে রীতিমতো আগুন লেগেছে। একথা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় নথিতে।

জানুয়ারিতে দেশের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স ছিল ৬.০১ শতাংশ। তারপরও কীসের ভিত্তিতে রিজার্ভ ব্যাংক অনুমান করল যে ফেব্রুয়ারিতে তা কমে যাবে? মুদ্রাস্ফীতি কমাতে রিজার্ভ ব্যাংক এই সময়ের মধ্যে ঠিক কী কী ব্যবস্থাই বা গ্রহণ করেছে? মুদ্রাস্ফীতি অনেকটা বেড়ে যাওযায় এখন রিজার্ভ ব্যাংককে কাঠগড়ায় তুলে এই প্রশ্নই তুলছেন অর্থনীতির বিশেষজ্ঞরা।

আরও পড়ুন- রাশিয়ার হামলায় শিশুমৃত্যুর পরিসংখ্যান প্রকাশ রাষ্ট্রসংঘের

কেন্দ্রীয় সরকার অবশ্য ইতিমধ্যেই রিজার্ভ ব্যাংককে মুদ্রাস্ফীতি কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। অন্তত ২ শতাংশ মুদ্রাস্ফীতি কমাতে হবে। তা নামিয়ে আনতে হবে ৪ শতাংশে। এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এজন্য ২০২৬ সালের লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করে দিয়েছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের তরফে সেকথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। আর, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে বলেও দাবি করেছে অর্থ মন্ত্রক। কিন্তু, তারপরও ফেব্রুয়ারিতে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ল কি করে? এই প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই।

এই ব্যাপারে কেন্দ্রের বক্তব্য, প্রত্যেক দুই মাস অন্তর সিপিআই রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়। এই দুই মাসে দেশের খুচরো বাজারে মুদ্রাস্ফীতির তথ্য তুলে ধরা হয় রিপোর্টে। আর এই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতেই গত মাসে রিজার্ভ ব্যাংকের আর্থিক নীতি কমিটি রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখেছিল। তবে, ব্যবস্থা যাই নেওয়া হোক না-কেন, ফলাফলটাই যে আসল কথা, তা ফেব্রুয়ারির মুদ্রাস্ফীতিই বুঝিয়ে দিয়ে গেল। হাড়ে হাড়ে দামবৃ্দ্ধির জ্বালা ভোগ করে এখন এমনটাই বলছেন সাধারণ মানুষ।

Read story in English

Retail Inflation
Advertisment