অংশীদারিত্ব নয়, এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ অর্থাৎ পুরো মালিকানাই কিনতে পারবে অনাবাসী ভারতীয় (এনআরআই)। কেন্দ্রের ডিপার্টমেন্ট ফর প্রোমোশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড ইন্টার্নাল ট্রেড (ডিপিআইআইটি)-এর তরফে জানানো হয়েছে এই তথ্য।
সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ নীতি অনুযায়ী এতদিন বিমান সংস্থার সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ কেনা যেত। (ডিপিআইআইটি)-এর তরফে সম্প্রতি একটি সাংবাদিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, "এয়ার ইন্ডিয়ার ক্ষেত্রে বিদেশি বিনিয়োগকারী অথবা বিদেশি বিমান সংস্থা অংশীদারিত্ব কিনতে চাইলে সর্বোচ্চ ৪৯ শতাংশ কিনতে পারবে। তবে অনাবাসী ভারতীয় বিনিয়োগকারীকে ১০০ শতাংশ অংশীদারিত্বই বিক্রি করতে রাজি কেন্দ্র"।
আরও পড়ুন, করোনা প্রকোপে ধুকছে অর্থনীতি, ক্ষতির মুখে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ সংস্থা
২০১৮ সালেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ন্যাশনাল ক্যারিয়ারের সরকারের সিংহভাগ অংশীদারিত্ব বিক্রি করে দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থাকে। কিন্তু সেই নিলামে কোনও বেসরকারি সংস্থাই তেমন আগ্রহ দেখায়নি। এই পরিস্থিতিতে ব্যাপক ক্ষতির মুখে ১০০ শতাংশ বেসরকারিকরণের দিকেই এগোচ্ছে কেন্দ্র।
সোমবার কেন্দ্রের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়েছে দেশের মধ্যে এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক রুটে চলা এয়ার ইন্ডিয়ার ১০০ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এয়ার ইন্ডিয়া কেনার জন্যে প্রাথমিক আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ধার্য হয়েছে ১৭ মার্চ। উল্লেখ করা দেওয়া হয়েছে যে সব সংস্থা এই নিলামে সামিল হতে চায় তাদের সংস্থার অন্যান্য দায়দায়িত্বের পাশাপাশি ৩.২৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণের বোঝাও নিতে হবে। তবে এই নিলামের পর ভারতীয় সংস্থা বা ব্যক্তির অধীনেই থাকতে হবে এয়ার ইন্ডিয়ার মালিকানা।
২০১৮ সালে কেন্দ্র সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ অংশীদারিত্ব বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। সেই সময়ে সংস্থাটির বাজারে দেনা ছিল ৫.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।
এয়ার ইন্ডিয়ার বেসরকারিকরণের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছিল মাস খানেক আগেই। বেসরকারিকরণ ছাড়া এয়ার ইন্ডিয়াকে বাঁচানো সম্ভব নয় বলে আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মাস খানেক আগে রাজ্যসভার প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি এই কথা জানান। ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে অবশ্য তিনি জানান বেসরকারিকরণের পদ্ধতি সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সমস্ত কর্মীর স্বার্থের কথা মাথায় রেখেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।