/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/11/modi-759-2.jpg)
প্রধানমন্ত্রী মোদী
দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার শোচনীয়। সম্প্রতি প্রকাশিত হওয়া হিসেব বলছে, ছ'বছরের মধ্যে রেকর্ড কমেছে আর্থিক বৃদ্ধির হার। এরকম সময়ে দেশের প্রধানমন্ত্রী একটু অন্যরকম বলছেন। শুক্রবার তিনি বলেন, "৫/৬ বছর আগে দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে এগিয়ে গিয়েছিল। এনডিএ সরকারের হাত ধরে শুধুমাত্র শৃঙ্খলা এবং ইতিবাচক পদক্ষেপের জোরে অর্থনীতির হাল ফিরেছে"।
অ্যাসোচ্যামের ১০০ বছর উপলক্ষে দিল্লির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এমনটাই দাবি করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ দিন দেশকে ৫ ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে নিয়ে যাওয়ার ভাবনার ওপর জোর দেন প্রধানমন্ত্রী।
" width="640" height="360" allowfullscreen="allowfullscreen" data-mce-fragment="1">
উদ্বোধনী মঞ্চে এ'দিন মোদী বলেন, "আমরা সবাই জানি পাঁচ বছর আগে ভারতের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে এগিয়ে গিয়েছিল। আমাদের সরকার সেই ছবিটা বদলে দিয়েছে। ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে এবং কর্পোরেটের সঙ্গে যারা জড়িত, আমি তাঁদের আজ আশ্বস্ত করতে চাই, অর্থনীতির দুর্বল জায়গাগুলো ভরাট হয়েছে। তাই দু'বার না ভেবেই নিশ্চিন্তে বিনিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিন"।
অন্যদিকে দেশের অর্থনীতি নিয়ে আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন দেশের প্রাক্তন অর্থনীতি উপদেষ্টা। অর্থনীতিতে ‘টুইন ব্যালান্স শিট সঙ্কটে’র মধ্যে দিয়ে বৃহৎ আকারের মন্দা দেখতে চলেছে ভারত", জানিয়েছেন অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যম। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক শীর্ষক এক আলোচনাসভায় বক্তৃতা রাখার সময় ভারতের অর্থনীতি নিয়ে চিন্তিত অরবিন্দ বলেন, “যে মন্দার মুখ দেখছে ভারত, তা কোনও সাধারণ মন্দা নয়। এটা হলো ভারতের অন্যতম বৃহৎ আকারের অর্থনৈতিক মন্দা। ভারতের অর্থনীতি এখন আইসিইউ-এর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।”
সম্প্রতি আরেকটি খবর সামনে এসেছে। বিগত ছ’বছরের মধ্যে রেকর্ড বেড়েছে খাদ্যস্ফীতির হার। ২০১৩-র ডিসেম্বর থেকে এই প্রথম দু’অঙ্কের ঘর ছুঁয়েছে। চলতি বছরের অগাস্টে দেশের খাদ্যস্ফীতির হার ছিল ২.৯৯ শতাংশ। ডিসেম্বর, ২০১৯ এ তা এসে দাঁড়িয়েছে ১০.১ শতাংশে। এবং এই খাদ্যস্ফীতির কারণ কিন্তু খরা অথবা বর্ষায় যথেষ্ট বৃষ্টি না হওয়া নয়। মুলত অসময়ের বৃষ্টি এবং বাড়তি শস্য নষ্ট হওয়ার কারনেই ঘটেছে খাদ্যস্ফীতি।