মুম্বইতে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রাক্তন ম্যানেজিং ডিরেক্টর তথা সিইও চন্দা কোচরের বাড়ি, তাঁর স্বামী দীপক কোচরের মালিকানাধীন নুপাওয়ার রিনিউয়েবলস লিমিটেড সংস্থার অফিস, এবং ভিডিওকন গ্রুপের প্রোমোটার বেণুগোপাল ধূতের বাসভবনে আজ তল্লাশি চালাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। চন্দা কোচর আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে তাঁর পদে থাকাকালীন ঋণদান প্রক্রিয়ায় সম্ভাব্য দুর্নীতির অভিযোগ খতিয়ে দেখছে ইডি।
ED is conducting searches under PMLA at the premises of Chanda Kochhar, former chairman ICICI Bank and Venugopal Dhoot of Videocon Group in Mumbai and Aurangabad respectively.
— ED (@dir_ed) March 1, 2019
এছাড়াও ফার্স্টল্যান্ড হোল্ডিংস এবং নুপাওয়ার রিনিউয়েবলসের মধ্যে তথাকথিত লেনদেনের তদন্ত করতে ইডি হানা দিয়েছে ম্যাটিক্স গ্রুপের অফিসে। এর আগে ঔরঙ্গাবাদ এবং মুম্বইয়ে ধূতের অফিসেও তল্লাশি চালায় ইডি।
গত বছরের ২৯ মার্চ 'ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস' একটি প্রতিবেদনে জানায়, যে ২০১২ সালে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কাছ থেকে ৩,২৫০ কোটি টাকার ঋণ পাওয়ার ছ'মাসের মধ্যেই দীপক কোচর এবং দুই আত্মীয়ের সঙ্গে মিলে তিনি যে সংস্থা খুলেছিলেন, সেই সংস্থার অ্যাকাউন্টে কয়েক কোটি টাকা জমা করেন বেণুগোপাল ধূত। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর থেকেই আইসিআইসিআই ব্যাঙ্ক এবং চন্দা কোচরকে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে রাখা হয়। ঋণ অনুমোদন প্রক্রিয়ার প্রাথমিক তদন্তের উদ্দেশ্যে একটি প্রিলিমিনারি এনকোয়ারি (পিই) ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭ সালে শুরু করে সিবিআই।
প্রসঙ্গত, স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন ২০ টি ব্যাঙ্কের একটি কনসোর্টিয়ামের কাছ থেকে ৪০,০০০ কোটি টাকার ঋণ নেয় ভিডিওকন গ্রুপ, যার অংশ ছিল আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের কাছ থেকে পাওয়া ৩,২৫০ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৮৬ শতাংশ (২,৮১০ কোটি টাকা) অপরিশোধিত রয়ে যায়, এবং ২০১৭ সালে ভিডিওকনের অ্যাকাউন্টটিকে অনুৎপাদক সম্পদ বা নন-পারফরমিং অ্যাসেট (এনপিএ) ঘোষিত হয়।
এছাড়াও দীপক কোচরের নুপাওয়ার মরিশাসের সংস্থা ফার্স্টল্যান্ড হোল্ডিংসের কাছ থেকে ৩২৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ আদায় করে। এই ফার্স্টল্যান্ড হোল্ডিংসের মালিক হলেন এসার গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রবি রুইয়ার জামাই নিশান্ত কানোডিয়া। এই বিনিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১০ সালের ডিসেম্বর মাসে। উল্লেখ্য, সেই একই সময় আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের নেতৃত্বে বিভিন্ন ভারতীয় ব্যাঙ্কের একটি কনসোর্টিয়াম ২৯ ডিসেম্বর, ২০১০ সালে এসার স্টিল মিনেসোটা এলএলসি নামের এক সংস্থাকে ৫৩০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ অনুমোদন করে। এই ঋণও পরে এনপিএ ঘোষিত হয়। ২০১৩ সালে ফার্স্টল্যান্ড নুপাওয়ারে তাদের অংশ বেচে দেয় ডিএইচ রিনিউয়েবলস নামের আরেকটি মরিশাসের সংস্থাকে।
Read the full story in English