কপিল ওয়াধাওয়ান এবং সমীর গেহলোট গোয়েন্দা দফতরে হাজিরা না দেওয়ার কারণ হিসেবে করোনার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, তাঁদের পক্ষে যাতায়াত করা সম্ভব নয়।
ইয়েস ব্যাঙ্ক তদন্তে দেশের সাতজন বড় ব্যবসায়ীকে তলব করেছিল গোয়ান্দা সংস্থা ইডি (এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট)। এঁদের মধ্যে অন্তত তিনজন ব্যক্তিগত অথবা পেশাগত কারণ দেখিয়ে হাজিরা দিতে যাননি ইডি-র দফতরে।
Advertisment
রিলায়েন্স কর্তা অনিল আম্বানি এবং ডিএইচএফএল কর্তা কপিল ওয়াধাওয়ানের ইডি-তে হাজিরা দেওয়ার দিন ছিল যথাক্রমে সোম এবং মঙ্গলবার। বুধবার হাজিরার দিন ছিল এসেল গোষ্ঠী-কর্তা সুভাষ চন্দ্র এবং জেট এয়ারওয়েজের নরেশ গোয়েলের। আগামী শুক্রবার ইডি-র দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল ইন্ডিয়াবুলস হাউজিং ফিনান্স লিমিটেড-এর সমীর গেহলোটের। এরা প্রত্যেকেই হাজিরা না দেওয়ার ব্যাক্তিগত অথবা পেশাগত কারণ দেখিয়ে চিঠি লিখেছেন ইডি-র দফতরে।
অনিল আম্বানি দেখিয়েছেন 'ব্যক্তিগত কারণ'। কপিল ওয়াধাওয়ান এবং সমীর গেহলোট গোয়েন্দা দফতরে হাজিরা না দেওয়ার কারণ হিসেবে করোনার আশঙ্কার কথা উল্লেখ করেছেন। জানিয়েছেন, তাঁদের পক্ষে যাতায়াত করা সম্ভব নয়। ইন্ডিয়াবুলস হাউজিং ফিনান্স লিমিটেড কর্তা চিঠিতে লিখেছেন তিনি ব্রিটেনে রয়েছেন। করোনা আতঙ্কের জেরে সমস্ত উড়ান বাতিল হয়ে গিয়েছে। ওয়াধওয়ানও চিঠিতে জানিয়েছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে তাঁকে সফর না করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সূত্রের খবর বলছে, নরেশ গোয়েল জানিয়েছেন তিনি তাঁর ক্যানসার আক্রান্ত বোনের কাছে থাকায় তাঁর পক্ষে এই মুহূর্তে হাজিরা দেওয়া সম্ভব নয়। এই বিষয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের তরফে গোয়েলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি।
সুভাষ চন্দ্র হাজিরা দিতে না পারার কারণ হিসেবে সংসদের অধিবেশনের উল্লেখ করেছেন। যদিও এর আগে অবশ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রশ্নের উত্তরে এসেল গোষ্ঠী-র কর্তা জানিয়েছিলেন তদন্তে সাহায্যের জন্য তিনি হাজিরা দিতে ইচ্ছুক।
আমাদের নিউজলেটার সদস্যতা!
একচেটিয়া অফার এবং সর্বশেষ খবর পেতে প্রথম হন