চলতি অর্থবর্ষে আরও কমতে চলেছে এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে খবর, ৮.৫ শতাংশ থেকে কমে সুদের হার হতে চলেছে ৮.১০ শতাংশ। যার জেরে মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে আরও কোপ পড়তে চলেছে। শীঘ্রই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের কাছে ইপিএফ কমিটি এই প্রস্তাব দেবে বলে জানা গিয়েছে।
একেই মূল্যবৃদ্ধি আর মুদ্রাস্ফীতির জোড়া ফলায় বিদ্ধ সাধারণ মানুষ। তার উপর গোদের উপর বিষফোড়ার মতো রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে শেয়ার বাজারে ধস অব্যাহত। বিশ্ব বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আকাশছোঁয়া হয়ে গিয়েছে। যার ফলে দেশের বাজারে পেট্রল-ডিজেলের দাম বাড়ার আশঙ্কায় রয়েছেন অর্থনীতিবিদরা। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন শেষ হতেই ফের দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই অবস্থায় কোপ পড়র ইপিএফ-এর সুদেও। মধ্যবিত্তের সঞ্চয়ে এবার কোপ পড়ল। শেষবার এত কমেছিল ১৯৭৭-৭৮ অর্থবর্ষে। চার দশকে চলতি অর্থবর্ষে সর্বনিম্ন হল সুদের হার। সেই সময় সুদের হার কমে হয়েছিল ৮ শতাংশ। ইপিএফ-এর সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্রাস্টিস গুয়াহাটিতে একটি বৈঠকে সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে। বোর্ডের এক সদস্য দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, এঠাই চার দশকে সর্বনিম্ন সুদের হার।
আরও পড়ুন করোনার কোপে সবচেয়ে ক্ষতি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে, ঋণ বেড়েছে ২০ হাজার কোটি
উল্লেখ্য, বোর্ডের নেতৃত্বের রয়েছেন কেন্দ্রীয় শ্রমমন্ত্রী এবং তার পর রয়েছেন এমপ্লয়ার এবং এমপ্লয়িজ তরফের প্রতিনিধি। গত অর্থবর্ষেও সুদের হার ছিল ৮.৫০ শতাংশ। তার আগের অর্থবর্ষেও একই হার ছিল। কিন্তু কোভিড অতিমারিতে অনেকেরই অর্থসঙ্কট দেখা দেয়। ফলে তাঁরা ফান্ড থেকে যথেচ্ছ হারে টাকা তুলেছেন, ফান্ডে টাকাও কম জমা পড়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ইপিএফও প্রায় ৫৭ লক্ষ ক্লেইমের উপর ১৪ হাজার ৩১১ কোটি টাকা অ্যাডভান্স হিসাবে প্রদান করেছে।