একদিকে অর্থনৈতিক মন্দা, অন্যদিকে সীমান্ত সংঘাত। তার মধ্যেই ভারত থেকে চিনে রফতানির পরিমান ৩১ শতাংশ বেড়েছে। এই বৃদ্ধির মূল্য ৭.২৯ বিলিয়ান মার্কিন ডলার। শিল্প মন্ত্রকের পোর্টালেই এই পরিসংখ্যানের উল্লেখ রয়েছে। চলতি অর্থবর্ষে প্রথম চারমাসে (এপ্রিল-জুলাই) সামগ্রিক রফতানির হার যেখানে ২৯.৯৯ শতাংশ কমেছে, সেখানে চিনে রফতানি বৃদ্ধির হারকে উল্লেখযোগ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত বছর এই সময়কালে এ দেশে থেকে চিনে রফতানির মূল্য ছিল ৫.৫৭ বিলিয়ান মার্কিন ডলার। এবার তা বেড়ে হয়েছে ৭.২৯ বিলিয়ান মার্কিন ডলার। আবার এই সময়েই দেশের সামগ্রিক রফতানি ১০৭.১৪ বিলিয়ান মার্কিন ডলার থেকে কমে হয়েছে ৭৫.০১ বিলিয়ান মার্কিন ডলার।
অনলাইনে উল্লেখিত বাণিজ্য তথ্য অনুসারে ২০২০-২১ অর্থবর্ষের এপ্রিল-জুলাইয়ে ভারত থেকে চিনে রফতানির পরিমান ২০০৭-০৮ সালের পর সবচেয়ে বেশি। পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারতের মোট রফতানির মধ্যে চিনে রফতানির পরিমান এপ্রিল-জুলাইয়ে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯.৭১ শতাংশ। গত বছর এই সময়কালে (এপ্রিল-জুলাই) যা ছিল ৫.২ শতাংশ।
করোনা সংক্রংমণের প্রকোপ চিনে আগে দেখা যায়। এ বছর জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত বাণিজ্য কার্যক্রম ব্যাহত হয়। ভারতেও ২৫ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করে হয়। তবে, বিদেশ ও আন্তঃরাজ্য পণ্য চলাচলে বিশেষ ক্ষেত্রে ছাড় ঘোষণা করা হয়।
তথ্যে স্পষ্ট যে, ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে ভারত থেকে চিনে রফতানি গত বছরের তুলনায় ২৩.১৫ শতাংশ বেড়েছে। পরে তিন মাসে অবশ্য রফতানির হার গত বছরের তুলায় বেশ কম। কিন্তু, মে, জুন ও জুলাই মাসে তা আবার বেড়ে গিয়েছে।
কেন চিনে রফতানির পরিমান এই হারে বৃদ্ধি পেল? এ স্পর্কে স্পষ্ট কোনও উল্লেখ নেই। তবে মনে করা হচ্ছে লকডাউনের আগে রফতানির জন্য যেসব চুক্তি ছিল তা আনলক পর্বে সে দেশে পৌঁছন হয়েছে। তাই রফতানির হার বড়েছে।
উল্লেখ্য, গত অর্থবর্ষে ভারত থেকে আমেরিকায় রফতানির হার (১৬.৯৪ শতাংশ )ছিল সবচেয়ে বেশি। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (৯.২১ শতাংশ)। এরপরই ছিল চিন।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন