Advertisment

ছ'বছরে রেকর্ড খাদ্যস্ফীতি, ক্রমশ নিম্নমুখী শিল্পোৎপাদনের হারও

অতি আবশ্যক খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লে তা সরাসরি দেশের (বিশেষত ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে) নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর প্রভাব ফেলে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

বিগত ছ'বছরের মধ্যে রেকর্ড বাড়ল খাদ্যস্ফীতির হার। ২০১৩-র ডিসেম্বর থেকে এই প্রথম দু'অঙ্কের ঘর ছুঁল। চলতি বছরের অগাস্টে দেশের খাদ্যস্ফীতির হার ছিল ২.৯৯ শতাংশ। ডিসেম্বর, ২০১৯ এ তা এসে দাঁড়িয়েছে ১০.১ শতাংশে। এবং এই খাদ্যস্ফীতির কারণ কিন্তু খরা অথবা বর্ষায় যথেষ্ট বৃষ্টি না হওয়া নয়। মুলত অসময়ের বৃষ্টি এবং বাড়তি শস্য নষ্ট হওয়ার কারনেই ঘটেছে খাদ্যস্ফীতি।

Advertisment

নরেন্দ্র মোদীর জমানার শুরুতে কিন্তু খাদ্যস্ফীতির হার ছিল বেশ কম। ২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের মে মাস পর্যন্ত দেশের বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার থেকেছে গড়ে ৩.২৬ শতাংশ। ২০১৯ এর নভেম্বরে খাদ্যস্ফীতির হার বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০.১ শতাংশে। শুধু আনাজের ক্ষেত্রেই খাদ্যস্ফীতির হার ৩৫.৯৯ শতাংশ। ডিম এবং শস্যদানার ক্ষেত্রে দাম বাড়ার হার ৩.৭১ শতাংশ।

আরও পড়ুন, অনুৎপাদক সম্পদের বোঝায় জর্জরিত স্টেট ব্যাঙ্ক, বিপুল লোকসানের আশঙ্কা

প্রসঙ্গত, অতি আবশ্যক খাদ্যপণ্যের দাম বাড়লে তা সরাসরি দেশের (বিশেষত ভারতের মতো তৃতীয় বিশ্বের দেশে) নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর প্রভাব ফেলে।

খাদ্যস্ফীতির এই হারে বেড়ে যাওয়ায় কার্যত অপ্রস্তুত কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সুদ কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখাকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত বৃহস্পতিবারের ঋণনীতিতেও তার প্রতিফলন স্পষ্ট। রেপো রেট অপরিবর্তিত রেখে খাদ্য পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির হার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চেয়েছে আরবিআই, অধিকাংশ অর্থনৈতিক বিশ্লেষকের মত এমনটাই।

খাদ্যস্ফীতির হার ছ'বছরে রেকর্ড ছুঁয়ে ফেলার খবর জেদিন প্রকাশ্যে এল, একই দিনে সামনে এসেছে এনএসও-এর অন্য আরেকটি হিসেব। শিল্পোৎপাদনের হার পরপর তিন মাস ক্রমশ কমে গিয়ে ৩.৮৪ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে।

narendra modi RBI indian economy
Advertisment