কোভিড দাপটে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের নানা ক্ষেত্র। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক ক্ষেত্র। করোনার দ্বিতীয় ধাপে সেই দিকটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরিসংখ্যান বলছে এবারের ধাক্কায় আর্থিক সঞ্চয় বিশেষত ব্যাঙ্কের আমানত এবং ইক্যুইটি বিনিয়োগ কমছে ক্রমশ।
হিসেব বলছে, ২০২০-২১-এর ত্রৈমাসিক হিসেবে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাথমিক অনুমান জিডিপির ৮.২ শতাংশ রয়েছে মধ্যবিত্তের আর্থিক সঞ্চয় হিসেবে।
২০২০ সাল থেকেই এই আর্থিক ক্ষয়ের সূচনা। ২০২০-২১ এর সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়া দ্বিতীয় প্রান্তিকে আর্থিক সঞ্চয় জিডিপির ১০.৪ শতাংশ এবং জুনের প্রান্তিকের ২১ শতাংশ ছিল। ডিসেম্বরেই দেশের সব পরিবারের আর্থিক সম্পদ কমে গিয়ে মোট ৪ লক্ষ ৪৪ হাজার ৫৮৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। সেপ্টেম্বরে ছিল ৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা এবং আরবিআই অনুযায়ী জুনের ত্রৈমাসিকে তা ছিল ৮ লক্ষ ১৫ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা।
আরবিআই জানিয়েছে, পরিবারের আর্থিক দায়বদ্ধতা অর্থপ্রবাহে নিয়ন্ত্রণ এনেছে। ব্যাঙ্ক ও হাউসিং ফিনান্সে ঋণ নেওয়াও কমে গিয়েছে। Credit Suisse-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ভারতে মোট সম্পদ ৫৯৪ বিলিয়ন ডলার বা শতাংশের হারে ৪.৪ শতাংশ কমেছে।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এই অর্থবর্ষে অর্থনীতির ঘুরে দাঁড়ানো নিয়েও চিন্তা বাড়াচ্ছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে প্রথম ত্রৈমাসিকে জিডিপি সংকোচনের আশঙ্কা রয়েছে। আয় বৃদ্ধির হার কমে যাওয়াতেই সঞ্চয়, কেনাকাটা কমছে। আর দেনার হার যদি দেখা যায় তাহলে তা দেনার হার গত বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৩৭.১% থেকে অক্টোবর-ডিসেম্বরে ৩৭.৯ শতাংশে পৌঁছেছে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন