'আত্মনির্ভর ভারত' গড়ার ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বেশি করে স্বদেশি পণ্য় ব্য়বহার বাড়ানোর কথা বলেছে মোদী সরকার। সেই লক্ষ্য়পূরণে এবার ঘরোয়া উৎপাদন ও পরিষেবা প্রদানে জোর দিতে নীতি-নির্দেশিকা ও নিয়মাবলীতে রদবদল করার পথে হাঁটছে একাধিক সংস্থা। 'আত্মনির্ভর ভারত' অভিযানে শামিল হয়ে নির্দেশিকা ও কাজের নিয়মাবলীতে বদল এনেছে বাণিজ্য় দফতর, ডিপার্টমেন্ট ফর প্রোমোশন অফ ইন্ডাস্ট্রি অ্য়ান্ড ইন্টার্নাল ট্রেড (ডিপিআইআইটি), অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক,বিএসএনএলের মতো একাধিক দফতর ও সংস্থা।
টায়ার আমদানির ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম জারি করেছে ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি)। এবার থেকে টায়ার আমদানির জন্য় অনুমতি ও লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ধীর তালে বিকিকিনি খুচরো বিপণীতে, ক্রেতাদের প্রয়োজন মেটানোয় বাড়তি জোর
সরকারি চুক্তিদানে ঘরোয়া সংস্থাগুলোকে বাড়তি সুবিধা দিতে নিয়মাবলীতে বদল আনার কথা জানিয়েছে ডিপিআইআইটি। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সাপ্লায়ার্সদের তিনটি ক্য়াটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে। প্রথমটি হল, যাদের ৫০ শতাংশেরও বেশি স্থানীয় সামগ্রী রয়েছে, দ্বিতীয়, যাদের স্থানীয় সামগ্রী ২০ থেকে ৫০ শতাংশের মধ্য়ে রয়েছে। তৃতীয়, যাদের স্থানীয় কনটেন্ট ২০ শতাংশেরও কম, যাদের নন-লোকাল সাপ্লায়র্স হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আগের নিয়ম অনুযায়ী,যাদের ৫০ শতাংশেরও বেশি স্থানীয় সামগ্রী থাকত, তারাই শুধুমাত্র ৫০ লক্ষ টাকার নীচে সরকারি চুক্তিতে শামিল হতে পারত। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, যাদের স্থানীয় স্তরে বিপুল চাহিদা রয়েছে, দক্ষতা রয়েছে, তাদেরকেই চুক্তির জন্য় আহ্বান করা হবে।
অন্য়দিকে, 'আত্মনির্ভর ভারত' অভিযানে শামিল হয়েছে অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রকও। বেশ কয়েকটি সামগ্রীর তালিকা তৈরি করেছে মন্ত্রক, যা এয়ারপোর্ট অথিরিটি অফ ইন্ডিয়া স্থানীয় সাপ্লায়ার্সদের থেকে সংগ্রহ করতে পারবে। 'মেক ইন ইন্ডিয়া' প্রচারে জোর দিচ্ছে টেলি যোগাযোগ সংস্থা বিএসএনএলও। ৪জি-র সরঞ্জামের জন্য় যে দরপত্র ইস্য়ু করা হয়েছিল মার্চে, তা পুবরায় করা হচ্ছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন