মোদী সরকারের সঙ্গে তাঁর সংঘাতের আবহ তৈরি হয়েছিল বলে সরগরম হয়েছিল জাতীয় রাজনীতি। আর সে কারণেই আচমকাই আরবিআই-এর গভর্নর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন উর্জিত প্য়াটেল। কিন্তু কী নিয়ে বিরোধ হয়েছিল? ইস্তফার বহুদিন পর এ নিয়ে মুখ খুললেন আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর। নয়া দেউলিয়া আইন লঘু করা নিয়ে মোদী সরকারের সঙ্গে আরবিআই-এর মতবিরোধ তৈরি হয়েছিল, এমন চাঞ্চল্য়কর মন্তব্য়ই করেছেন রিজার্ভ ব্য়াঙ্ক অফ ইন্ডিয়ান প্রাক্তন গভর্নর উর্জিত প্য়াটেল।
বিরোধের সূত্রপাত ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওই সময় আরবিআই একটি সার্কুলার জারি করে, যেখানে বলা হয়, যেসব ঋণগ্রহীতা তাঁদের ঋণের কিস্তি শোধ করতে দেরি করবেন, তাঁদের অবিলম্বে ঋণখেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করে তালিকা তৈরি করতে হবে ব্য়াঙ্কগুলিকে। শুক্রবার একটি বই প্রকাশ করে আরবিআই-এর প্রাক্তন গভর্নর বলেছেন, সরকার বোধহয় এই আইনের জন্য় উৎসাহ হারিয়ে ফেলেছিল।
আরও পড়ুন: সংখ্যা মিললেই স্বপ্নপূরণ, রইল শুক্রবারের লটারির টিকিটের ফলাফল
উল্লেখ্য়, ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ব্য়াঙ্কের গভর্নর পদে ছিলেন প্য়াটেল। আরবিআই-এর গভর্নর পদ থেকে উর্জিত প্য়াটেলের ইস্তফা ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। এ প্রসঙ্গে প্য়াটেল আরও বলেছেন, ফেব্রুয়ারির সার্কুলারটি ফের জারি করার অনুরোধ করা হচ্ছিল। কিন্তু গুজব রটিয়ে আইনটিকে কালিমালিপ্ত করা হয়।
প্য়াটেলের উত্তরসূরী হিসেবে আরবিআই-তে পা রেখে ২০১৯ সালের জুন মাসে আইনটি লঘু করেন শক্তিকান্ত দাস। বলা হয়, যেসব অ্য়াকাউন্টে গোলমাল রয়েছে, সেগুলি রিভিউ করার জন্য় ঋণদাতাদের ৩০ দিন সময় দিতে হবে। একইসঙ্গে ঋণখেলাপিদের দেউলিয়া হিসেবে ঘোষণা করার ডেডলাইন তুলে নেওয়া হয়।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন