জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে দেশের আর্থিক বৃদ্ধির হার নেমেছে ৩.১ শতাংশে

২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা বিগত ১১ বছরে সর্বনিম্ন। ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.১ শতাংশ।

২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা বিগত ১১ বছরে সর্বনিম্ন। ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.১ শতাংশ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে গত দু-মাস ধরে দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। এই অবস্থায় দেশের অর্থনীতি রীতিমতো ধসে পড়ছে। শুক্রবার কেন্দ্রের হিসেব বলছে জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার কমে ৩.১ শতাংশে এসে দাঁড়িয়েছে।

Advertisment

২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৪.২ শতাংশ হবে বলে অনুমান করা হয়েছে, যা বিগত ১১ বছরে সর্বনিম্ন। ২০১৮-১৯ অর্থ বর্ষে আর্থিক বৃদ্ধির হার ছিল ৬.১ শতাংশ।

কেন্দ্রের এই পরিসংখ্যাণ থেকে আঁচ করা যাচ্ছে লকডাউন পরবর্তী দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও শোচনীয় হতে চলেছে। কারণ লকডাউন শুরুই হয়েছে ২৫ মার্চ থেকে।

Advertisment

এর আগে মুডিজ আভাস দিয়েছিল ৫.৩ শতাংশ থাকতে পারে আর্থিক বৃদ্ধির হার। করোনার প্রকোপ যে আচ্ছন্ন করেছে ভারতের অর্থনীতিকে, তা বেশ স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে মুডিজের এই আভাস থেকে। বুধবার সারা দেশে তিন সপ্তাহের লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার জেরে বিমান পরিবহণ, রেল স্তব্ধ। সরকারি-বেসরকারি বাসও চলাচল কার্যত স্তব্ধ।

আরও পড়ুন, করোনা ক্ষতে প্রলেপ দিতে ইপিএফ-এ বড় ঘোষণা মোদী সরকারের

পৃথিবীর প্রায় ১৯৫ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। বিশ্ব অর্থনীতিও ধুকছে। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়তে চলেছে ভারতের ওপর। মুডিজ অন্য যে সমস্ত দেশের গড় আর্থিক উৎপাদন বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে, তার মধ্যে ভারতের স্থান সবচেয়ে নীচে। করোনার এপিসেন্টার চিনে আর্থিক বৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৩.৩ শতাংশ।
সারা বিশ্ব জুড়েই অর্থনীতিতে থাবা বসিয়েছে করোনা। মুডিজের পূর্বাভাস বলছে সারা দুনিয়ায় চলতি বছরে আর্থিক বৃদ্ধির হার কমবে 0.৫ শতাংশ।

indian economy economy