Advertisment

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে উন্নয়ন ব্যাংকের ভাবনা কেন্দ্রের

পরিকাঠামো ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নজরে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।

তলানীতে দেশের অর্থনীতি। এই অবস্থায় পরিকাঠামো খাতে উন্নয়নের লক্ষ্যে উন্ননশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান গঠনে জোর দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। পরিকাঠামো ক্ষেত্রে কেন্দ্রের নজরে দীর্ঘ মেয়াদী বিনিয়োগ। এ জন্য বৃহৎ আর্থিক প্রতিষ্ঠান যেমন, আইসিআইসিআই, আইডিবিআই, আইএফসিআই, আইআরবিআই নিজেদের পুনর্নবীকরণ করছে বা বাতিল বলে বিবেচিত হওয়ার পথে।

Advertisment

সানডে এক্সপ্রেসকে এক সরকারি আধিকারিক বলেছেন, 'গত কয়েকমাস ধরেই এ সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। দু'টি বিকল্পের কথা বলা হয়েছে। প্রথমত, এটি সরকার উদ্যোগে করা উচিত কিনা। দ্বিতীয়ত, সরকারি নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি হাতে দিয়ে এই পদক্ষেপ সম্পূর্ণ করা যায় নাকি।'

জাতীয় পরিকাঠামো পাইপলানের অধীনস্ত সামাজিক ও অর্থনৈতিক কাঠামো পূরণে ডিএফআই ব্যবহার করা হবে।

গত ডিসেম্বরে আগামি পাঁচ বছরে পরিকাঠামো খাতে বিনিয়োগের রোডম্যাপ প্রকাশ করল কেন্দ্র। ১০২ লক্ষ কোটির ন্যাশনাল ইনফ্রাস্ট্রাকচার পাইপলাইন (এনআইপি) ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এ বছর ১০ অগাস্ট এনআইপি ড্যাশবোর্ডের সূচনা করেন তিনি। আগামী ২০২৪-২৫ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ পাঁচ বছরের জন্য এই পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, গত ৬ বছরে মোদী সরকার পরিকাঠামো খাতে খরচ করেছে ৫১ লক্ষ কোটি টাকা। আগামী পাঁচ বছরের ক্ষেত্রে সেই পরিমাণ দ্বিগুণ হবে। কিন্তু, তাতেও অর্থনীতির শ্লথগতি, ৬ বছরে সর্বনিম্ন ডিজিপি বৃদ্ধির হার, বেকারত্ব বৃদ্ধি, শিল্পে ভাটার মতো চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে সন্দিহান অর্থনীতিবিদদের একটা বড় অংশ।

ডিএফআই পুরোপুরি সরকার কর্তৃক অধিষ্ঠিত থাকলে সুস্পষ্ট সুবিধা রয়েছে, সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ হল তহবিল সংগ্রহ। তবে, বেসরকারি হাতে দিলে সরকারকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর উপর বিশ্বাস রাখতে হবে। যদিও নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকারের হাতে ৪৯ শতাংশ অংশীদারিত্ব থাকবে। এ ক্ষেত্রে উন্ননশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্যাগ ও সিবিআই ভয়মুক্ত হয়ে কাজ করবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পরিকাঠামো ক্ষেত্রে বিনিয়োগে ঘাটতি রয়েছে। প্রকল্পের জন্য ব্যংকগুলো দীর্ঘকালীন ভিত্তিতে অর্থ দিতে পারবে না। ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির হার ৮-১০ শতাংশে রাখতে হলে ঋণ বৃদ্ধি ১২-১৪ শতাংশে ধরে রাখতে হবে। পরিকাঠানো উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ প্রয়োজন। বহুল পরিমানে উন্ননশীল আর্থিক প্রতিষ্ঠান গঠন তাই সরকারের ভাল উদ্যোগ।

Read in English

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Nirmala Sitharaman
Advertisment