/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/05/GST-_COLLECTION.jpg)
এপ্রিল মাসে মোট পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি)-এর সাহায্যে রাজস্ব সংগ্রহ ১২ শতাংশ বেড়ে ১.৮৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। ২০১৭ সালের জুলাই-এ পরোক্ষ কর ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর থেকে এটাই সর্বোচ্চ মাসিক বৃদ্ধি। অর্থ মন্ত্রকের বিবৃতি অনুসারে, ১,৮৭,০৩৫ কোটি টাকার যে রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে, তার মধ্যে সিজিএসটি হল ৩৮,৪৪০ কোটি টাকা, এসজিএসটি হল ৪৭,৪১২ কোটি টাকা, আইজিএসটি হল ৮৯,১৫৮ কোটি টাকা (পণ্য আমদানিতে সংগৃহীত ৩৪,৯৭২ কোটি টাকা-সহ)। এছাড়া সেস আদায় হয়েছে ১২,০২৫ কোটি টাকা। অর্থ মন্ত্রক আরও বলেছে যে দেশীয় লেনদেন থেকে রাজস্ব (পরিষেবা আমদানি-সহ) এপ্রিল মাসে গত বছরের একই মাসে এই উত্সগুলো থেকে আয়ের চেয়ে ১৬ শতাংশ বেশি।
👉 #GST revenue collection for April 2023 highest ever at ₹1.87 lakh crore
👉 Gross #GST collection in April 2023 is all time high, ₹19,495 crore more than the next highest collection of ₹1,67,540 crore, in April 2022
Read more ➡️ https://t.co/KGeb6ZLf0D
(1/2) pic.twitter.com/4RmDWG4cJB— Ministry of Finance (@FinMinIndia) May 1, 2023
২০২২-২৩ অর্থবর্ষের জন্য মোট অর্থসংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১৮.১০ লক্ষ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় ২২ শতাংশ বেশি। এর আগে, গত বছরের এপ্রিলে সর্বোচ্চ ১.৬৮ লক্ষ কোটি টাকা জিএসটি সংগ্রহ রেকর্ড করা হয়েছিল। আর, ২০২৩ সালের মার্চে জিএসটি সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ১.৬০ লক্ষ কোটি টাকা। সেই হিসেবে এপ্রিলের জিএসটির সংগ্রহ সব রেকর্ডকে ভেঙে দিয়েছে। আর একমাসের মধ্যে সংগৃহীত জিএসটির পরিমাণ বেড়েছে ২৬ হাজার ৮৭৮ লক্ষ কোটি টাকা। দেশে এভাবে জিএসটি সংগ্রহ লাফিয়ে বাড়ায় যথারীতি সরকার খুশি। আর, তা গোপন রাখেনি অর্থ মন্ত্রক। বরং, মন্ত্রকের তরফে এই সাফল্যের কথা সোশ্যাল মিডিয়াতে ঘোষণাও করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- ঐতিহাসিক রায়! সুপ্রিম কোর্ট চাইলে বিবাহ বিচ্ছেদের সরাসরি নির্দেশ দিতে পারবে
তবে, নির্মলা সীতারামনের মন্ত্রক বেশি জিএসটি সংগ্রহ নিয়ে যতই খুশি প্রকাশ করুক, বহু রাজ্যই জিএসটি ইস্যুতে কেন্দ্রের ওপর ক্ষুব্ধ। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো হামেশাই অভিযোগ করেছেন, জিএসটির অর্থ কেটে নিচ্ছে কেন্দ্র। অথচ, বাংলাকে তার প্রাপ্য দিচ্ছে না। পালটা সময়মতো জিএসটির প্রাপ্য মিটিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। সেই তালিকায় বাংলাও আছে বলেই মোদী সরকার জানিয়েছে।