আন্তর্জাতিক মুদ্রা ভাণ্ডার (আইএমএফ) মঙ্গলবার ২০২২ সালে ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সম্ভাবনাকে কমিয়ে করেছে ৬.৮ শতাংশ। জুলাইয়ে যা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। তার তুলনায় এই বৃদ্ধির সম্ভাবনা ০.৬ শতাংশ কম। এর আগে জুলাইয়ে আইএমএফ এপ্রিলে শুরু হওয়া অর্থবছরে ভারতের মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিডিপি ৭.৪ শতাংশ হতে চলেছে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছিল।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারিতে আইএমএফ জানিয়েছিল, চলতি (২০২২-২৩) অর্থবর্ষে ভারতের জিডিপি দাঁড়াতে পারে ৮.২ শতাংশ। গত অর্থবর্ষ (২০২১-২২)-এ (এপ্রিল ২০২১ থেকে মার্চ ২০২২) ভারতের জিডিপি বেড়েছিল ৮.৭ শতাংশ হারে। মঙ্গলবার প্রকাশিত তার বার্ষিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুক রিপোর্টে, আইএমএফ বলেছে যে ২০২২-এ ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৮ শতাংশ বাড়তে পারে বলে জুলাইয়ে জানানো হয়েছিল। কিন্তু, সেই বৃদ্ধি ০.৬ শতাংশ কম ঘটবে বলে এখন মনে করা হচ্ছে।
গোটা বিশ্বে বৃদ্ধির হার ২০২১ সালে ছিল ৬.০ শতাংশ। সেটা ২০২২ সালে ৩.২ শতাংশে নেমে গিয়েছে। আর, ২০২৩ সালে সেটাই ২.৭ শতাংশে নেমে যেতে পারে। বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট এবং কোভিড-১৯ অতিমারীর পরবর্তী পর্যায়েই শুধু নয়, গত দুই দশক ধরে এটাই বিশ্বের আর্থিক বৃদ্ধির সবচেয়ে খারাপ উদাহরণ। এর আগে কেন্দ্রের মোদী সরকার আশ্বাস দিয়েছিল, দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ক্রমশ অগ্রগতি ঘটবে।
আরও পড়ুন- বৃহস্পতিবার রাশিয়া-তুরস্ক বৈঠক, শান্তি আলোচনার প্রস্তাব পেতে পারেন পুতিন
বৃহত্তম আর্থিক শক্তিগুলোর মন্থরতা, ২০২২ সালের প্রথমার্ধে মার্কিন জিডিপি সংকোচন, ২০২২ সালের দ্বিতীয়ার্ধে ইউরোপে আর্থিক বৃদ্ধির সংকোচন, চিনে ক্রমবর্ধমান সম্পত্তিজনিত সংকট, করোনার প্রাদুর্ভাব, লকডাউন- এসবের কারণেই ভারত আর্থিক ক্ষেত্রে ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছে। আইএমএফের গবেষণা বিভাগের প্রধান অলিভিয়া গৌরিঞ্চাস বলেন, 'বিশ্বের অর্থনীতি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছে। ইউক্রেনে রুশ হামলা, মুদ্রাস্ফীতির জন্য জীবনযাত্রার ব্যয়বহুল সংকট, চিনে মন্দার কারণে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব পড়েছে।'
বিশ্ব অর্থনীতির এক তৃতীয়াংশেরও বেশি ২০২৩ সালে সংকুচিত হবে। তিনটি বৃহত্তম অর্থনীতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং চিনের আর্থিক পরিস্থিতি স্থবির হতে শুরু করবে। এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এখনও চূড়ান্ত খারাপ সময় আসা বাকি। আর, সেই সময় এলে ২০২৩ সালকে অনেকটা মন্দার মত মনে হবে।
Read full story in English