ইতিহাসে প্রথমবার, আমেরিকা থেকে বিপুল পরিমাণে ইউরিয়া কিনছে ভারত। দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্থা স্যামসাং ৪৭ হাজার টন গ্র্যানুলার ইউরিয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ওরলিন্স বন্দর থেকে নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দরে রফতানি করবে বলে জানা গিয়েছে। টন প্রতি ৭১৬ মার্কিন ডলার খরচ পড়বে এই ইউরিয়ার। পণ্য পরিবহণ খরচ আলাদা।
এতদিন আমেরিকা মাঝে মাঝে ইউরিয়া রফতানি করত। বাণিজ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে আমেরিকা ১.৪৭ টন ইউরিয়া ভারতে রফতানি করেছিল। পরের অর্থবর্ষে সেটা গিয়ে দাঁড়ায় ২.১৯ টন। গত অর্থবর্ষে ৪৩.৭১ টন। কিন্তু এই অর্থবর্ষে পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৭ হাজার টন। আগামী সপ্তাহে জাহাজে লোডিং শুরু হওয়ার কথা।
ভারত সরকারের অধীনস্থ রাষ্ট্রীয় কেমিক্যালস অ্যান্ড ফার্টিলাইজার্স লিমিটেড সংস্থা এই আমদানি টেন্ডার ডাকে। গত ১১ মে এই বিশ্বব্যাপী টেন্ডারের জন্য ১৬.৫ লক্ষ টন ইউরিয়া বিশ্বের বিভিন্ন সাপ্লায়ারের কাছ থেকে দেশের পশ্চিম এবং পূর্ব প্রান্তের বন্দরে আসছে আগামী কয়েকদিনে।
এক শিল্প বিশেষজ্ঞ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আরও জাহাজ আসছে ভারতে। আগামী কয়েক মাসে এই আমদানির বিবিধতার কারণে অন্য সরবরাহকারীদের কাছেও দেশের তরফে একটা বার্তা পৌঁছবে। প্রসঙ্গত, ভারত ২১-২২ অর্থবর্ষে ১০.১৬ মেট্রিক টন ইউরিয়া আমদানি করেছিল। যার মূল্য আনুমানিক ৬৫২ কোটি মার্কিন ডলার। মূলত চিন (২.৭৯ মে টন), ওমান (১.৬২ মে টন), সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (১.০৬ মে টন), এবং মিশর, ইউক্রেন, কাতার এবং সৌদি আরব থেকে আমদানি করেছিল ভারত।
আরও পড়ুন রেকর্ড পতন টাকার দামের, ডলারের তুলনায় আরও কমল রুপির দাম
আমেরিকা থেকে এত পরিমাণ ইউরিয়া কেনার কারণ হল টন প্রতি দাম মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলি থেকে কম। দেশের কোষাগারে সাশ্রয় করতে চাইছে সরকার। বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, পরিবহণ খরচ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলিতে টন প্রতি ১৫-২০ ডলার কম খরচ পড়ছে। পরিবহণের সময়ও আমেরিকার তুলনায় অনেক কম। আমেরিকা থেকে ৩৫ দিন বা বেশি লাগে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্য থেকে ৫-১০ দিনেই চলে আসে। কিন্তু আমেরিকা যা ছাড় দিচ্ছে সেটাই অনেক।