Advertisment

'বিশেষ নম্বর' না থাকলে বৈধ নয় আয়কর দফতরের নোটিশ

আজ থেকে কোনও ট্যাক্সের নোটিশ, চিঠি কিংবা শমন জারির ক্ষেত্রে এই ডিআইএন নম্বর ব্যবহার না করলে সেগুলিকে বাতিল বলে গণ্য করা হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
income tax

প্রতীকী ছবি

আয়কর বিভাগের কাজে দক্ষতা এবং স্বচ্ছতা আনতে বড় পদক্ষেপ নিল আয়কর দফতর। আয়কর সংক্রান্ত যাবতীয় লেনদেনের ক্ষেত্রে এবার ব্যবহার করা হবে ইউনিক ডকুমেন্ট আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার (ডিআইএন)। কেন্দ্রীয় প্রত্যক্ষ কর বোর্ডের পক্ষ থেকে গত মাসেই একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। যেখানে বলা হয়েছিল, ১ অক্টোবর থেকেই ডিআইএন নাম্বার ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক। আজ থেকে কোনও ট্যাক্সের নোটিশ, চিঠি কিংবা শমন জারির ক্ষেত্রে এই ডিআইএন নম্বর ব্যবহার না করলে সেগুলিকে বাতিল বলে গণ্য করা হবে। মঙ্গলবার আয়কর দফতর থেকে ইতিমধ্যেই ১৭ হাজার ৫০০টি ডিআইএন নম্বর তৈরি করা হয়েছে।

Advertisment

মূলত দুর্নীতি রোধ এবং কর্মক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনতেই অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ প্রতিটি বিভাগের প্রতিটি চিঠিতে এই ডিআইএন নম্বর ব্যবহার করতে নির্দেশ দিয়েছেন। রাজস্ব দফতরের সচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে বলেন,"আজ থেকে এই কম্পিউটার জেনারেটেড ডিআইএন ছাড়া আয়কর বিভাগের কোনওরকম নোটিশ, চিঠি, আদেশ বা সমনকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে এবং আইনের চোখেও এর কোনও অস্তিত্ব থাকবে না।"এমনকি আয়কর দফতর থেকে কোনও চিঠি ডিআইএন নম্বর ছাড়া প্রকাশিত হলে তাঁকে 'অপ্রকাশিত' হিসেবেই গণ্য করা হবে।

মনে করা হচ্ছে, চিঠির প্রাপকদের কাছে পাঠানো নথির সত্যতা যাচাই করার ক্ষেত্রে এই ডিআইএন নম্বরটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। রাজস্ব সচিব অজয় ভূষণ পাণ্ডে বলেন, "আজ থেকে ডিআইএন নম্বর দেওয়া সমস্ত নথিগুলিকে ই-ফাইলিং পোর্টালেও যাচাই করা যাবে। এমনকি ম্যানুয়ালি কোনও ডিআইএন দেওয়া যাবে না, বিশেষ কয়েকটি পরিস্থিতি ছাড়া।" এমনকি কোনও নোটিশ ম্যানুয়ালি ডিআইএন বসিয়ে জারি করার সময় আয়কর বিভাগের উচ্চপদস্থ কমিশনারের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হবে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে। শুধু তাই নয়, কেন সেই আধিকারিক ম্যানুয়ালি নোটিশ জারি করলেন তাঁর জন্য নোটিশ জারির ১৫ দিনের মধ্যে লিখিতভাবে তার কারণ জানাতে হবে এবং নোটিশটি সরকারি পোর্টালে আপলোডও করতে হবে।

উল্লেখ্য, এ বছর স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আয়কর দফতরের দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেই মতো ৬০ জন উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের চাকরি থেকে বরখাস্তও করে দিয়েছিলেন। এরপরই আয়কর দফতরের এই পদক্ষেপ যে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকেই সমর্থন করছে, এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

Read the full story in English

Income Tax
Advertisment