Income Tax Return (ITR) Filing 2019-20: ২০১৯-২০ করবর্ষের (অ্যাসেসমেন্ট ইয়ারের) জন্য কর জমা দেওয়ার শেষ তারিখ হলো ৩১ জুলাই, ২০১৯। অর্থবর্ষ হিসেবে দেখলে ২০১৮-১৯ হবে। সেকশন ৮০সি এবং ৮০ইউ এর অন্তর্গত ছাড়ের আগে যদি এক অর্থবর্ষে আপনার মোট আয় (gross total income) হয় ২.৫ লক্ষ টাকার বেশি, তবে আপনি রিটার্ন ফাইল করতে বাধ্য। সিনিয়র সিটিজেন, অর্থাৎ ৬০-৮০ বছর বয়সীদের জন্য আয়ের ঊর্ধ্বসীমা হলো ৩ লক্ষ টাকা, এবং সুপার সিনিয়র সিটিজেন, অর্থাৎ ৮০-র বেশি বয়সীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকা।
আরও পড়ুন: স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজে রাজ্য সর্বাগ্রে, টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী
ITR ফাইল করার সময়সীমা কী?
৩১ জুলাইয়ের সময়সীমা শুধুমাত্র ইন্ডিভিজুয়াল, অবিভক্ত হিন্দু পরিবার বা হিন্দু আনডিভাইডেড ফ্যামিলি (HUF) এবং অ্যাকাউন্ট অডিট করার প্রয়োজন নেই এমন করদাতাদের জন্য। অন্যান্য ক্ষেত্রে, যেমন কোনও সংস্থা এবং সংস্থার ওয়ার্কিং পার্টনাররা, সময়সীমা হলো ৩০ সেপ্টেম্বর। যেসব করদাতা সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষে আন্তর্জাতিক লেনদেন করেছেন এবং সেকশন 92E-এর অধীনে তথ্য পেশ করতে বাধ্য, তাঁদের জন্য সময়সীমা ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত।
সময়সীমার মধ্যে ITR জমা না করতে পারলে কী হবে?
ঘোষিত সময়সীমার মধ্যে কর জমা দিতে না পারলে জরিমানা দিতে হবে। এর আগে বিলম্বিত কর জমা দিলে কোনও জরিমানার ব্যবস্থা ছিল না, তবে ২০১৭ সাল থেকে তা চালু হয়েছে।
নির্দিষ্ট তারিখের পর কর জমা দিলে তাকে 'বিলম্বিত ITR' বলা হয়, এবং তা ফাইল করা যাবে ৩১ মার্চ, ২০২০ পর্যন্ত। কিন্তু এই সময়সীমার মধ্যেও যদি আপনি কর জমা না করতে পারেন, তবে আপনাকে কর জমা দেওয়ার জন্য আয়কর বিভাগের নোটিসের অপেক্ষায় থাকতে হবে।
দেরি করে কর জমা দিলে কত জরিমানা দিতে হয়?
যদি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে কর জমা করেন, তবে জরিমানার পরিমাণ ৫ হাজার টাকা। ১ জানুয়ারি এবং ৩১ মার্চ ২০২০-র মধ্যে হলো ১০ হাজার টাকা। বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম হলে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জরিমানার পরিমাণ এক হাজার টাকার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।