আয়কর ব্যবস্থায় সংস্কারের পথে বড় পদক্ষেপ নিল দ্বিতীয় মোদী সরকার। করদাতার অর্থনৈতিক লেনদেন এবার সরাসরি নজরে রেখে নথিভূক্ত করতে চলেছে আয়কর দফতর। শনিবার সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ডাইরেক্ট ট্যাক্সের তরফে জানান হল, নবরূপে আসতে চলেছে 'ফর্ম ২৬এএস'। একটি নির্দিষ্ট অর্থবর্ষে করদাতার যাবতীয় বড় অঙ্কের লেনদেনের খতিয়ান নথিভূক্ত করবে এই নবরূপের 'ফর্ম ২৬এএস'। এর ফলে আয়কর ই-ফাইলিং-এর ক্ষেত্রে করদাতাদের অত্যন্ত সুবিধা হবে বলেও জানানো হয়েছে। তবে কর জমার ক্ষেত্রে আপাতত 'ফর্ম ২৬এএস' মান্যতা ঐচ্ছিক।
প্যান নম্বরের সাহায্যে করদাতারা আয়করের ওয়েবসাইট থেকে তাঁদের 'ফর্ম ২৬এএস' দেখতে পারবেন। সাবেক 'ফর্ম ২৬এএস'-এ নির্দিষ্ট প্যান নম্বরের সাপেক্ষে টিডিএস (ট্যাক্স ডিডাক্টেড অ্যাট সোর্স), টিসিএস (ট্যাক্স কালেক্টেড অ্যাট) ইত্যাদি দেখতে পাওয়া যেত। কিন্তু, নয়া ফর্মে সংশ্লিষ্ট অর্থবর্ষে প্যান নম্বরের সাপেক্ষে বিভিন্ন ক্ষেত্রে লেনদেনর খতিয়ানও (স্টেটমেন্ট অব ফাইনানশিয়াল ট্রানজ্যাকশন) বিশদে লিপিবদ্ধ থাকবে।
কীভাবে তথ্য জোগাড় করবে সরকার?
২০১৬ অর্থবর্ষ থেকে এই তথ্য মিলবে 'ফর্ম ২৬এএস'-এ। ব্যাঙ্কের থেকে নদগ জমা বা তোলার, রেজিস্ট্রারের থেকে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি কেনা-বেচার এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলির থেকে ক্রেডিট কার্ড পেমেন্টের, শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডিবেঞ্চার কেনা-বেচার ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন-ভাঙানোর তথ্য সরাসরি সংগ্রহ করে নেবে সিবিডিটি। এইসব তথ্যই একত্রিত করে নথিভূক্ত হবে নয়া 'ফর্ম ২৬এএস'-এ।
এই ফর্মের 'পার্ট-ই'-তে সংগৃহীত তথ্য সাজানো থাকবে। করদাতা কর জমা দেওয়ার সময় এই নথি দেখে সহজেই কর হিসাব করতে পারবেন বলে জানানো হয়েছে। সিবিডিটি আরও জানিয়েছে, এরফলে সৎ করদাতাদের সুবিধা যেমন হবে তেমনই বিপদে পড়বেন করফাঁকি দেওয়ার মানসিকতা নিয়ে যারা চলে।
হোস্টবুক লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান কপিল রাণা বলেন, "উদ্দেশ্য স্পষ্ট। প্রত্যেককেই অর্থনৈতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে খুবই সতর্ক ও যত্নবান হতে হবে। যেকোনও লেনদেনের ক্ষেত্রে উপযুক্ত নথি, তথ্য ও প্রমাণও মজুত রাখতে হবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন