দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে নাজেহাল আমজনতা। তার মধ্যে আবার অ-নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছে মোদী সরকার। এমনিতেই বিশ্বজুড়ে ব্যবসার ঘাটতি দেখা দিয়েছে। রফতানির বাজার পড়ে গিয়েছে। তার মধ্যেই কেন্দ্র অ-নিত্যপ্রয়োজনীয় শুল্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। কেন্দ্রের অবশ্য পালটা যুক্তি, যেসব পণ্য ভারতেই উৎপন্ন হয়, তা যাতে অযথা বাইরে থেকে আনা না-হয়, সেটা নিশ্চিত করতেই শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবা হয়েছে।
সেকথা মাথায় রেখেই তালিকা তৈরি হচ্ছে। আর, যেসব পণ্য জরুরি, বিদেশ থেকে আনতেই হবে, তাতে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। এই ব্যাপারে সরকারের এক পদস্থ আধিকারিক বলেন, 'আমরা অপ্রয়োজনীয় আমদানি কমাতে চাই। যেসব পণ্য ভারতেই যথেষ্ট উৎপাদিত হচ্ছে, সেগুলো বাইরে থেকে আনার কী দরকার! সেই জন্য অ-নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।'
এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে একাধিক পণ্যের আমদানি শুল্ক বাড়িয়েছিল কেন্দ্র। তার মধ্যে ছাতা থেকে হেডফোন, ইয়ারফোন, লাউডস্পিকার, স্মার্ট মিটার, ইমিটেশন জুয়েলারির মত পণ্য ছিল। নিত্যপ্রয়োজনীয় না-হলে, এই সব পণ্য আবার দৈনিক ব্যবহার্য। কেন্দ্রীয় আধিকারিকদের মতে, রফতানি কমে যাওয়ার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশের অর্থনীতি। গত ৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত পরিসংখ্যানেই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছিল যে আগস্টে রফতানি ১.১৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
আরও পড়ুন- অভিষেকের কড়া নির্দেশ, এবার অপসারিত খড়গপুর পুরসভার চেয়ারম্যান
সরকারের প্রকাশিত হিসেব অনুযায়ী, পাঁচ মাসে রফতানির পরিমাণ ছিল ১৯৩.৫১ বিলিয়ন ডলার। তুলনায় আমদানির পরিমাণ ৩১৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। তার সঙ্গে উপরি হিসেবে বাণিজ্য ঘাটতি ২৭.৯৮ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। তাই এসব কথা মাথায় রেখেই সরকার আমদানিতে রাশ টানতে চাইছে। আর, সেই জন্যই আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবা হচ্ছে।
কোন পণ্যগুলোর ওপর আমদানি শুল্ক বাড়বে, তা সরকার ঠিক করতে হারমোনাইজড সিস্টেম অফ নোমেনক্লেচার (HSN) কোডের আশ্রয় নিচ্ছে। এমনিতে একই হারমোনাইজড সিস্টেম অফ নোমেনক্লেচারের কোডের আওতায় থাকা সমস্ত পণ্যের ওপর একই শুল্ক আরোপ করা হয়। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার চাইছে একটি কোডের অধীনে বাছাই কিছু পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ করতে।
Read full story in English