৪০ জন নতুন ভারতীয় কোটিপতির জন্ম দিয়েছে অতিমারির বছর ২০২০। এমনকি, করোনা সংক্রমণে বেড়েছে মুকেশ আম্বানি-গৌতম আদানির সম্পদ। হুরুন গ্লোবাল প্রকাশিত বিত্তশালীদের তালিকায় খানিকটা তেমনটাই ইঙ্গিত। প্রতিবারের মতো এবারও ভারতের সবচেয়ে কোটিপতি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন মুকেশ আম্বানি। রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রির কর্ণধারের ২০২০ সালে মোট সম্পদ ৮৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাঁর প্রায় ২৪% বেড়েছে সম্পদ। বিশ্বে অষ্টম ধনী ব্যক্তি হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন আম্বানি। পাশাপাশি গৌতম আদানির মোট সম্পদের পরিমান ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সম্পদ বাড়িয়ে বিশ্বের প্রথম ৫০ ধনীদের তালিকায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। তাঁর এখন স্থান ৪৮, আর ভারতের দ্বিতীয় বিত্তবান হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন আদানি।
জানা গিয়েছে, ব্যক্তিগত কিংবা পারিবারিক সম্পদের বিচারে এই তালিকা তৈরি হয়েছে। ১৫ জানুয়ারি, ২০২০-১৫ জানুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত মোট বিত্তের হিসেব ধরে তৈরি হয়েছে ২০২০ সালের ধনী ব্যক্তির তালিকা। লকডাউন এবং অতিমারির জেরে যখন ভারতীয় অর্থনীতি সঙ্কটে। জিডিপি ঋণাত্মক, কাজ হারিয়ে বেকার একাধিক নাগরিক, সেই সময় আম্বানি-আদানি এই দুই শিল্পপতির সম্পদবৃদ্ধি উল্লেখযোগ্য। এমনটাই উল্লেখ হুরুন গ্লোবালের রিপোর্টে।
তাঁদের রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, উদ্যোগপতি কিংবা তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থার কর্ণধার হিসেবে চিন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিত্তশালী হওয়ার ইতিহাস আছে। কিন্তু ভারতের ক্ষেত্রে পুরোটাই পারিবারিক কিংবা বংশপরম্পরা নির্ভর।
এরম চলতে থাকলে কোটিপতির বিচারে ভারত অচিরেই ইউএসকে পিছনে ফেলবে। এমনটাই দাবি করেছে হুরুন গ্লোবাল। আদানি-আম্বানি ছাড়াও ভারতীয় বিত্তবানদের তালিকায় ৩ নম্বর স্থানে রয়েছেন শিব নাদার। এইচসিএল-এর কর্ণধারের সম্পদের পরিমাণ ২৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এদিকে, মহিলা বিত্তশালীদের তালিকায় একদম ওপরে রয়েছেন বায়োকনের কর্ণধার কিরণ মজুমদার শ। তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৪.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে গোদরেজের স্মিতা কৃষ্ণা (৪.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) আর লুপিনসের মঞ্জু গুপ্তা (৩.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
তবে শুধু অতিমারির বছরে ভারতীয় শিল্পপতিদের শুধু সম্পদ বেড়েছে এমনটা নয়। হুরুন গ্লোবাল সূত্রে খবর, পতঞ্জলির কর্ণধার আচার্য বালকৃষ্ণের সম্পদ কমেছে ৩২%। তাঁর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।