তেল বিপণন সংস্থাগুলোর কাছে বকেয়া অর্থের জন্য সংকটে পড়া ভারতীয় বিমান সংস্থা গো ফার্স্ট ৩ এবং ৪ মে বিমান চলাচল বন্ধ রাখল। ওয়াদিয়া গ্রুপের বিমান সংস্থাটি, ডিরেক্টর জেনারেল অফ সিভিল এভিয়েশনকে জানিয়েছে, যে ওই দুই দিন তারা বিমান চালাতে পারবে না। তবে, এখন প্রকাশ্যে এনিয়ে বিমান সংস্থাটি কিছু ঘোষণা করেনি।
গো ফার্স্ট বিমান সংস্থা বেশ কিছুদিন ধরেই আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত। এই কারণে তেল সংস্থাগুলো তাদের ধারে তেল দিচ্ছে না। নগদে তেল কিনে তারা বিমান চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গো ফার্স্ট সংস্থার কর্মীদের বেতনে বিলম্ব একটা নিত্য ব্যাপার হয়ে উঠেছে। প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি (পিএন্ডডব্লিউ) ইঞ্জিনের সমস্যা এবং লিজের ভাড়া দিতে দেরি হওয়ায় তাদের এ৩২০ বিমানের প্রায় অর্ধেকই বর্তমানে কাজ করছে না।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী বিমান সংস্থাটি ডেলাওয়্যারের আদালতে প্র্যাট অ্যান্ড হুইটনি (পিএন্ডডব্লিউ) সংস্থার বিরুদ্ধে একটি জরুরি ভিত্তিতে অভিযোগ দায়ের করেছে। যেখানে বলা হয়েছে যে শীঘ্রই বিমান সংস্থাটি ইঞ্জিন না-পেলে তাদের বিমান চালানোর ব্যবসাই বন্ধ করে দিতে হবে। শুধু তাই নয়, এর জেরে গোটা বিমান সংস্থাটি দেউলিয়া পর্যন্ত ঘোষিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তবে, এই ব্যাপারেও বিমান সংস্থাটি প্রকাশ্যে মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের ধারণা, বিমান সংস্থাটি নানাভাবে এই জটিল অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করছে। আর, প্রতিপক্ষ ব্যবসায়ী সংস্থাগুলোর কথা মাথায় রেখে বিষয়টি নিয়ে মুখ বন্ধ রাখাই তারা শ্রেয় বলে মনে করেছে। তবে, সংস্থাটি তাদের সমস্যা মোকাবিলায় ঠিক কতদূর সফল হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন- শরদ পাওয়ারের রাজনৈতিক সন্ন্যাস, যেন ভারতীয় রাজনীতির একটি ধারার অবসান
বিশেষ করে সংস্থাটির কর্মীদের মনে তো বটেই। কারণ, দিনের পর দিন তাদের বেতন নিয়ে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে গো ফার্স্ট বিমান সংস্থার কর্মীরা আশঙ্কা করছেন যে তাঁরা কাজ হারাতে পারেন। সাম্প্রতিক অতীতে ভারতের একের পর এক বিমান সংস্থা বন্ধ হয়েছে। বড়সড় সমস্যার মুখে পড়েছে। গো ফার্স্ট, তার নবতম সংযোজন।