রাশিয়ার ওপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি হওয়ায় বিপাকে পড়েছে ভারত। কারণ, পুতিন প্রশাসন আর ডলারে লেনদেন করতে পারছে না। এর ফলে ভারতীয় তেল সংস্থাগুলোর প্রায় হাজার কোটি টাকা রাশিয়ায় আটকে আছে। এখন আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোর চাপে ভারত যদি রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়, তবে নয়াদিল্লিরই কোটি কোটি টাকা ক্ষতি হবে।
আবার, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের সহযোগী দেশগুলো রাশিয়া থেকে আর্থিক নিষেধাজ্ঞা তুলতে নারাজ। ভারতের রাষ্ট্রীয় তেল সংস্থাগুলো রাশিয়া থেকে তেল কেনার জন্য প্রায় ৫৪৬ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে ভ্যাঙ্করনেফট তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে ৪৯.৯ শতাংশ অর্থ। আর, তাস-ইউরিয়াখ নেফতেগাজোডোবিচা ক্ষেত্রে বিনিয়োগ হয়েছে ২৯.৯ শতাংশ অর্থ।
এই ব্যাপারে অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের পরিচালক হরিশ মাধব বলেন, 'আমরা নিয়মিত ওই সব উত্পাদন কেন্দ্র থেকে তেল নিচ্ছিলাম। কিন্তু, যেহেতু ইউক্রেনের যুদ্ধ বৈদেশিক মুদ্রা বিনিময় নিয়ে সমস্যা তৈরি করেছে, আর রাশিয়াও জানিয়ে দিয়েছে যে তারা ডলার বিনিময় করবে না, তাতে আমরা সমস্যায় পড়েছি।' ভারতীয় তেল সংস্থাগুলো বিনিয়োগ করায় শেয়ার বাজার থেকে পাওয়া লভ্যাংশও দিচ্ছিল রাশিয়ার তেলের খনিগুলো। এতে ভারতীয় তেল সংস্থাগুলোর লাভও হচ্ছিল।
আরও পড়ুন- ‘আমরা ক্ষমাপ্রার্থী’! অবশেষে মুখ খুলল টেক্সাসের নিহত বন্দুক বাজের মা-বাবা
এখনও ভারতীয় সংস্থাগুলোর আটশো কোটি রুবেল লভ্যাংশ পাওয়া বাকি। এমনিতে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক ভালো। রাশিয়ায় দীর্ঘদিনের বিনিয়োগকারীও ভারত। সেই সুবাদে রাশিয়ার সংস্থাগুলো থেকে অর্থ ভারত পেয়ে যাবে বলেই আশা করছে ভারতীয় তেল সংস্থাগুলো। ওএনজিসি বিদেশে লেনদেনকারী শাখা ওএনজিসি বিদেশ লিমিটেড (ওভিএল)-এরও বিনিয়োগ রয়েছে রাশিয়ায়। সুজুন্সকোয়ে, তাগুলসকোয়ে এবং লোডোচনয় তেল খনিগুলোয় ভারতের ২৬ শতাংশ বিনিয়োগ রয়েছে। যা পশ্চিম সাইবেরিয়ায় মিলিতভাবে ভ্যাংকর ক্লাস্টার নামে পরিচিত। সব মিলিয়ে ইউক্রেন যুদ্ধ যেন ভারতকেও জড়িয়ে ফেলেছে আষ্টেপৃষ্ঠে।
Read full story in English